এম এম লিংকন: ঢাকার কড়াইল বস্তিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একদিন পরও উদ্ঘাটন হয়নি এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য। এই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেও এখনো আটক হয়নি কোনো আসামি।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বুধবার রাত ৮টা ১৯ মিনিটে একদল যুবক দেশিয় অস্ত্র হাতে কড়াইল বস্তির এক গলিতে প্রবেশ করছে। ৫-৭ মিনিটের মধ্যে তারা আবার হন্তদন্ত হয়ে ফিরে আসছে। এর কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন উপস্থিত হলে উত্তেজনা দেখা দেয় ঘটনাস্থলে।
স্থানীয়রা বলছেন, বেশ কিছু বাড়িতে দেশিয় অস্ত্রের আঘাত ও দোকান ভাঙচুর করে একদল যুবক। পরে রাত প্রায় সাড়ে ৮টার দিকে নূরানী মসজিদে ঢুকে আল আমিন ও তার বড় ভাইকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা। প্রায় ৩০ জন এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ছেলের শোকে কাতর আল আমিনের বাবার। নিহত আল আমিনের পরিবার জানান, মসজিদের ভেতরে ঢুকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার সময় পুলিশ আশপাশে থাকলেও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
এদিকে এঘটনায় নূরুসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই রিয়াজ। পুলিশ বলছে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দ্রুতই তদন্ত করে আল আমিনকে যারা হত্যা করেছে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো বলে জানিয়েছেন, গুলশান বিভাগের উপ- কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কড়াইল বস্তিতে চাঁদার টাকা ও আধিপত্য নিয়ে জুয়েল এবং নূরের গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তার জের ধরেই বুধবার এ হত্যাকাণ্ড।
আপনার মতামত লিখুন :