সুজিৎ নন্দী: ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এরই মধ্যে নানা আকৃতির বড় গরুগুলোর বাহারি নাম নজর কেড়েছে সবার। নজর কাড়া গরুগুলোর মধ্যে একটি ‘রাজাবাবু’।
সাদা-কালো রংয়ের ৩৫ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম ১২ লাখ টাকা চাচ্ছেন মালিক। অন্যদিকে গাবতলী হাটে মেহেরপুর জেলার গাংনী থেকে দুটি বড় গরু এসেছে প্রতিটি গরুর দাম মালি ১৪ লাখ টাকা করে চাচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত এটাই ছিলো সবচেয়ে দামী পশু।
সরেজমিনে রাজধানীর প্রায় ৭টি হাট ঘুরে দেখা গেছে, এখানে বড় গরুর ক্রেতা কম। যেসব ক্রেতা আসছেন তারাও আশানুরূপ দাম বলছেন না। তিন থেকে চার মণ মাংস হবে এমন (মাঝারি আকৃতির) গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। হাটে মাঝারি গরুর চাহিদাও বেশি। তবে সেভাবে বড় গরুর ক্রেতা দেখা যায়নি।
যদিও নগরীর ক্রেতারা ঈদের এক-দুদিন আগে কোরবানির পশু কেনেন। সেই হিসেবে শুক্র ও শনিবার রাজধানীর হাটগুলোতে ক্রেতা বাড়বে। তখন বড় গরুর চাহিদাও বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
একাধিক বিক্রেতা জানান, আকর্ষণীয় নাম আর আকারে বড় হওয়ায় গাবতলীতে বেশকিছু ষাঁড় দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ খামারে ভিড় জমাচ্ছেন। ষাঁড়টির খাবারের পেছনে প্রতিদিন যে টাকা খরচ হয়েছে, তাতে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারলে কিছুটা লাভ হবে। এরই মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী ষাঁড়টি কেনার জন্য যোগাযোগ করেছেন। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম বলেননি কেউ।
সকাল থেকেই পশু দিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হাট। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা ফিরে এসেছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারি ক্রেতা ও দালাল থাকায় স্থানীয় ক্রেতারা পছন্দমতো গরু কিনতে পারেননি।
গাবতলী হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কোরবানির পশুর আমদানি হয়েছে। মোটামুটি কেনাবেচা হয়েছে বলে, ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি ছিল। হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছিল ১২ লাখ টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :