শিরোনাম
◈ আগামী নির্বাচনে কেউই একক নয়—জোট-সমীকরণে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল ◈ চরম সংকটে থাকা যে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে (ভিডিও) ◈ নতুন সভাপতি নিয়োগ ২১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, দেখুন তালিকা ◈ টিউলিপের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পাওয়ার দাবি ‘সম্পূর্ণ অসত্য’: দুদক ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ অব্যাহত, সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় মেডিক্যাল বোর্ড ◈ এবার মাহাথির মোহাম্মদ পুলিশ রিপোর্ট করলেন অনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে! ◈ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত, বুধবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা ◈ নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট আসছে বৃহস্পতিবার বাজারে ◈ আফ্রিকা হতে পারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির হাব ◈ খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন তিন বাহিনী প্রধান

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২৪, ১২:৪২ দুপুর
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২৪, ১২:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাঁটে মধ্যম দামের গরুর চাহিদা বেশি

এ আর শাকিল: [২] ধর্মপ্রাণ সামর্থবান মুসলমানরা শেষ সময়ে ব্যস্ত কোরবানির জন্য পশু কেনায়। হাজারো খামারি প্রতীক্ষায় থাকেন কোরবানির এই সময়টির জন্য। তবে কাঙিক্ষত দাম না পেয়ে মাঝারি থেকে বড় আকারের গরু পালনকারী খামারিদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। 

[৩] ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদিত স্থায়ী-অস্থায়ী ২০টি হাটের মধ্যে গাবতলি, রামপুরার মেরাদিয়া, তেজগাঁওয়ের পলিটেকনিকের খেলার মাঠ, হাজারীবাগ, কমলাপুরসহ কয়েকটি বাজারের ক্রেতা- বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর ক্রেতা সবচেয়ে বেশি। বিক্রেতাদের মধ্যেও যারা এই আকারের গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন তাদের বিক্রি ভালো হচ্ছে। সূত্র: দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ড

[৪] বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে আসা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে। জানা যায়, দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা দামের বড় গরুর ক্রেতা কম। তবে ৭০ হাজার থেকে সোয়া লাখ টাকার গরুর ক্রেতা বেশি। এরপরের সারিতে রয়েছে দেড় লাখ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার মাঝারি আকারের গরু। 

[৫] দাম কম হওয়ায় অনেক খামারি গরু বিক্রি না করেই ফিরে গেছেন। এর আগে গত সোমবার এই হাট থেকে অবিক্রিত অনেক গরু ফেরত গেছে। বিক্রেতারা জানান, পশু পালন করতে গিয়ে খাবারের খরচ বেশি হচ্ছে। প্রতি মাসে গোখাদ্যের পেছনে খামারিদের ব্যয় হয় গড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু সেই অনুযায়ী প্রত্যাশিত দাম পাওয়া কঠিন। ঢাকা পোস্ট

[৬] একজন খামারি হাটে দুটি গরু নিয়ে এসেছেন। প্রতিটি গরু আড়াই লাখ টাকা দামে বিক্রি করলেও লোকসান হবে বলে দাবি করেন তিনি। ধানের গুড়া, ভুসি, ঘাস খাওয়াতে প্রতিদিন একেকটি গরুর পেছনে তার খরচ হয়েছে ৩৫০ টাকা। তিনি বলেন, যে গরু নিয়ে এসেছি দাম চেয়েছি আড়াই লাখ। কিন্তু মানুষ দাম বলছে ১ লাখ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। 

[৭] তিনি আরো বলেন, বর্ডার থেকে গরু না আসলেই ভালো হতো। তাহলে দেশের লোক শান্তিতে দুই একটা বেচতে পারতো।

[৮] আরেকজন খামারি ৩০ মণ ওজনের একটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় নিয়ে এসেছেন হাটে। দাম চেয়েছেন ৯ লাখ টাকা। তবে কাঙিক্ষত মূল্যের ধারে কাছেও কোনো ক্রেতা দাম বলছে না। তিনি বলেন, এটা আমার বাড়ির গরুর বাচ্চা। কোরবানিকে কেন্দ্র সাড়ে চার বছর ধরে পালন করছি। দাম বলছে পাঁচ লাখ, ছয় লাখ টাকা। এখন আরও দুই দিন আছে। এর মধ্যে বিক্রি করতে হবে।

এআরএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়