শিরোনাম
◈ চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা ◈ আজ সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে ওসমান হাদির মরদেহ, শনিবার জানাজা ◈ তারেক রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে যে দুই ইস্যু ◈ যেভাবে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দিলেন নাহিদ-আসিফ (ভিডিও) ◈ হাদির মৃত্যু: চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ◈ কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ দেশে ফিরলে তারেক রহমানকে এসএসএফের নিরাপত্তা দেবে সরকার ◈ ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটারে একটু দেইখেন’—বলে কেঁদেছিলেন হাদি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০২২, ১২:৪২ রাত
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০২২, ১২:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] র‌্যাংগস গ্রুপের ম্যানেজারের লাশ উদ্ধার নিয়ে ধুম্রজাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার লেবুতলা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের কাশিপুর এলাকায় প্রদিপ কংশ বণিক (৪৮) নামে কথিত এক বাংলাদেশী নাগরিকের লাশ উদ্ধার নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। প্রদিপকে বাংলাদেশের র‌্যাংগস মটর লিমিটেডের ম্যানেজার দাবী করা হলেও তার মৃতদেহের কাছে মিলেছে ভারতীয় পাসপোর্ট। ফলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ প্রদিপের লাশ ভারতীয় হিসেবে নিয়ে গেছে।

[৩] মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, প্রদিপ কংশ বণিকের লাশ গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভারতের কাশিপুর এলাকার একটি রাস্তার উপর পড়ে ছিল। খবর পেয়ে ভারতের পশ্চিবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। লাশের পাশে ৪টি মোবাইল ফোন, ভারতীয় পাসপোর্ট, র‌্যাঙ্গস মটরের পরিচয়পত্র ও ভিজিটিং কার্ড পড়ে ছিল।

[৪] যোগাযোগ করা হলে র‌্যাঙ্গস গ্রুপের কর্মকর্তা লিটন জানান, প্রদীপ কংস বণিক তাদের হেড অফিসের ম্যানেজার। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। গত ২৩ জানুয়ারি অফিসের কাজে প্রদিপ যশোরে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে তার পাসপোর্টে বিজনেস ভিসা লাগানো ছিল বলে প্রদিপের ছোট ভাই এবি ব্যাংকের অফিসার সুবীর কংশ বণিক দাবী করেন। তার ভাই কি কারনে ভারতে গেছেন তা নিয়ে তাদেরও সন্দেহ বলে ভাই সুবীর জানান।

[৫] ভারতের বাগদা থেকে সাংবাদিক উত্তম সাহা জানান, পশ্চিবঙ্গের বাগদা থানার কাশিপুর গ্রামের সীমান্ত এলাকায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পাসপোর্ট নম্বর আর ৪৮৮৭৮০৮। এদিকে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রদীপের নিকট যে পাসপোর্ট ছিল তা ভারতীয়। ফলে তার লাশ ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ নিজেদের নাগরিক দাবী করে নিয়ে যায়।

[৬] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রদিপ কংশের দ্বৈত নাগরিক ছিল। তবে তার নিহত হওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছে তার পরিবার। তাছাড়া তিনি কারো কিছু না জানিয়ে কেন ভারতে গিয়েছিলেন তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়