সোহাগ হাসান: [২] স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার আশায় বল সুন্দরীসহ উন্নত জাতের বরই কৃষকের ভাগ্যে উন্নয়নে নতুন চমক সৃষ্টি করেছে সিরাজগঞ্জে। লাল আপেলের মতো দেখতে। বরই গাছের ডাল জুড়ে থোকায় থোকায় ঝুলছে সু-স্বাধু মিষ্টি বরই। স্থানীয়দের নিকট কাশ্মীরি বরইগুলো আপেল কুল, বল সুন্দরী, বাড়ি কুল ও টক-মিষ্টি হিসেবে পরিচিত।
[৩] ইতোমধ্যে বাগান থেকে বরই সংগ্রহ ও বাজার জাতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে বাজারদর ভালো থাকায় বরই চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। স্বল্প সময়ে অধিক ফলন ও লাভবান হবার ফলে বরই চাষে ঝুঁকছে চাষীরা।
[৪] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবছর জেলার সদর উপজেলায় ৭৬, শাহজাদপুর ৫, উল্লাপাড়া ২, কাজিপুর ৩৮, রায়গঞ্জ ২৫, বেলকুচি ১৮, কামারখন্দ ৬, চৌহালী ৩ ও তাড়াশ ২১ সহ মোট ১৯৪ হেক্টর জমিতে আপেল কুল, বল সুন্দরী ও বাড়ি কুল বরইগুলো চাষ হয়েছে।
[৫] সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের খাঘা গ্রামের স্কুল শিক্ষক জুলফিকার। তিনি ২০০৯ সালে প্রায় সাড়ে ৭ বিঘা জমি বর্গায় ১০০টি চারা দিয়ে এই আপেল কুল চাষ শুরু করেন। বর্তমানে বাগানে ২৫০টিরও বেশি গাছ রয়েছে।
[৬] জুলফিকার আলী বলেন, ৬৫ হাজার টাকায় সাড়ে ৭ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে কুল চাষ করে আসছি। প্রতি বছর জমির ভাড়া ও বাগান পরিচর্যায় প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। প্রথম দুই বছরে লাভ কম হলেও বর্তমান ভালো হচ্ছে।
[৭] তিনি আরও বলেন, বাগান থেকে কুল সরাসরি পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি গাছে ২৫ থেকে ৩০ কেজি আপেল কুল ধরেছে। বাগানে প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করছি। দামটাও বেশ ভালো পাচ্ছি।
[৮] প্রতিবছর এই গাছগুলোর পরিচর্যা ও জমির প্রায় ৩লাখ টাকা খরচ হয়। আর বিক্রি করেন ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
[৯] জুলফিকার আলী জেলার কাজীপুর উপজেলার বীর শুভগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি বর্তমানে তিনি একজন সফল কুল চাষি হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
[১০] সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ আবু হানিফ বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উন্নত জাতের আপেল কুলের চাষ হচ্ছে জুলফিকার আলীসহ ২০/২৫ এখন অভিজ্ঞ কুল চাষী রয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করছি আমরা। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :