শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০২২, ০৩:৪৪ রাত
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০২২, ১২:২৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোরশেদ শফিউল হাসান: পদত্যাগের জন্য সরকারের আদেশ-নির্দেশের বা পদক্ষেপের অপেক্ষায় থাকতে হবে কেন?

মোরশেদ শফিউল হাসান: ধরে নিলাম শাবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য কোনো অন্যায় বা ভুল করেননি। কারও বিষয়ে আপত্তিকর কিছু বলেনওনি। শিক্ষার্থীরা মিছামিছি ভুল বুঝে তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন-বিক্ষোভ করছে, তাঁর পদত্যাগ চাইছে। কিন্তু তিনি তো শিক্ষক, দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন। তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাও মনে হয় এখনো রয়ে গেছে। ফলে ভিসি পদ হারালে অন্তত তাঁকে বেকার হয়ে পরিবারসহ পথে বসতে হবে না। এই শীতের রাতে, উপরন্তু করোনাকালে ক্যাম্পাসে এতোগুলো তরুণ যে অনশন করছে, মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে তারা, কেবল তাদের কথা ভেবে হলেও, ‘শান্তি ও শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা’র যুক্তি দেখিয়ে তিনি তো চ্যান্সেলরকে একটা পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে মানে মানে চলে আসতে পারেন।

তাঁকে সরকারের আদেশ-নির্দেশের বা পদক্ষেপের অপেক্ষায় থাকতে হবে কেন? উপাচার্য হওয়ার সাধ তো তাঁর পূরণ হয়েছে। এদেশের নিয়ম অনুযায়ী, ক’দিন পর সবাই সব কিছু ভুলে যাবে। তাঁর নামের সঙ্গে আমৃত্যু (এমনকি মৃত্যুর পরও) ‘সাবেক উপাচার্য’ কথাটা লেখা থাকবে। শিক্ষক হয়েও শেষ জীবনে শিক্ষার্থীদের দ্বারা অপদস্থ যা হওয়ার তা তো তিনি হলেনই। তাঁর তো আর হারানোর কিছু নেই। পাওয়ারও কিছু আছে কি? নাকি এর আগে বিএনপি আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য পদত্যাগ করার পর তাঁকে যেমন রাষ্ট্রদূত করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো, তিনিও তেমন কিছুর অপেক্ষায় আছেন? যাই হোক, দ্রুতই এই সংকটের একটা নিরসন হওয়া দরকার। সরকারকেও বুঝতে হবে, তাদের জন্যও এ সময়ে এটা একটা বাড়তি বিড়ম্বনা বা ঝুঁকি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়