সালেহ্ বিপ্লব: [২] গত ২০ জানুয়ারি সাংবাদিক সুপন রায় ফেসবুকে লিখেন, ‘‘৩৪ উপাচার্য এক হয়ে বললেন, দরকার হলে একযোগে পদত্যাগ করবেন ! প্রচন্ড অস্বস্তিতে আছেন, তারা। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় আজ ৩৪ উপাচার্য একত্রে বসেছেন। বক্তব্য রেখেছেন, ২২ জন। সম্মানজনক সমাধান জরুরী।’
[৩] সুপন রায়ের স্ট্যাটাসটি অনেক নিউজ পোর্টাল তার স্ট্যাটাস হিসেবেই প্রকাশ করেছে। কেউ কেউ সংশ্লিষ্টদের কমেন্ট নিয়ে স্টোরি করেছে। কিন্তু কেউই সুপন রায়ের সঙ্গে কথা বলেননি। ফলে শাবিপ্রবি ইস্যুতে ৩৪ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন সুপন রায় নিজেও।
[৪] এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাত সোয়া দশটার দিকে ব্যাখ্যামূলক একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, আর তা লিখেছেন সাবেক গণমাধ্যমকর্মী ও বর্তমানে উন্নয়নকর্মী শাহানা হুদা রঞ্জনাকে উদ্দেশ্য করে।
[৫] সুপন রায় লিখেছেন: শাহানা আপার প্রশ্নের উত্তরে : উপাচার্যদের সেদিনের আড়াই ঘন্টার ভার্চুয়াল বৈঠকটি ছিল, সহকর্মীর প্রতি নৈতিক সমর্থন থেকে ! সেটি পুরোই ইনফরমাল ডিসকাশন ছিলো! ফেলো ফিলিংস থেকে, ইমোশনাল গ্রাউন্ড থেকে কেউ কেউ এমন আবেগী কথা উচ্চারণ করেছিলেন। আবার দুই একজন রিজা্নি করা কোনো সলিউশন নয় বলেও মন্তব্য করেছেন। আমি সেইদিন স্ট্যাটাসের শুরুতে ক্লিয়ারলি লিখেছিলাম, ‘দরকার হলে’। তারা ডিসিশন নিয়ে ফেলেছিলেন, এমনটা মিন করিনি।
সেইদিন তারা ৪টা ডিসিশন নিয়েছিলেন:
১. মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ওনার সাথে দেখা করবেন। এবং তাদের অবস্থান ও বক্তব্য তুলে ধরবেন।
২. মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করার জন্য সময় চাইবেন।
৩. ভিসিদের পক্ষ থেকে একটা প্রতিনিধি দল সিলেট যাবে।
৪. ভিসিদের পক্ষ থেকে একটা স্টেটমেন্ট হবে।
আবার ফেসবুক পেজ এ দেয়া স্ট্যাটাস থেকে কোট করে অনলাইনে নিউজ করায় এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে। তাই ক্লিয়ার করার জন্যই এইটা লিখলাম রঞ্জনা আপা।
ফেসবুক একটা পারসোনাল প্ল্যাটফরম! ইটস নট এট অল এ নিউজ পোর্টাল!
আমার সাথে কথা বলে নিউজটা করলে এই ধরনের কনফিউশন তৈরী হতো না বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু সবগুলো সাইড কাভার করে নিউজটা করা উচিত ছিলো- শাহানা হুদা আপা!