শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের আরো বলেছেন, সাধারন মানুষ যদি সঠিকভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে না পারে তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না, জবাবদিহিতা থাকে না। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে প্রথমে ভোটার বিহীন নির্বাচন, পরে খুনোখুনির নির্বাচন এখন হচ্ছে ফলাফল পরিবর্তনের নির্বাচন কায়েম করেছে। মানুষ ভোট দেয় একজনকে, ফলাফলে ঘোষণা হয় অন্যজনের নাম।
[৩] তিনি বলেন, রাবার ষ্ট্যাম্প নির্বাচন কমিশন হলে কেউ আর নির্বাচনে যাবে না, রাজনৈকি দল থাকবে না, দেশে রাজনীতিও থাকবে না। নির্বাচন নিয়ে জনগনের আস্থা তলানীতে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, চলমান নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে একদল, আবার নৌকার সমর্থকরাই নৌকা ডুবিয়ে দিচ্ছে।
[৪] শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি মোঃ নজরুল ইসলাম খান এর নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
[৫] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যোগদান অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বে দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর গণতন্ত্র নিপাত গেছে।
[৬] তিনি বলেন, একটি দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে দেশকে দুর্ণীতিতে চ্যাম্পিয়ণ করেছে পরবর্তীতে অন্যদলটি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে পরপর চারবার দেশকে দুর্নীতিতে বিশ^ চ্যাম্পিয়ণ করেছে। আবার একটি দল বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড শুরু করেছে, অন্যদলটি বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ডে দেশকে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন করেছে। একটি দল ভোট ডাকাতি শুরু করেছে, অন্যদল ক্ষমতায় এসে নির্বাচন কমিশনকে রাবার ষ্ট্যাম্প বানিয়েছে।
[৭] তিনি আরও বলেন, এমন একটি দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, এমন দেশের জন্য বীর শহীদরা জীবন দেয়নি, এমন দেশের জন্য মা-বোনেরা সম্ভ্রম দেয়নি। দেশের মানুষ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে চায় না, দেশের মানুষ আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। জুলুম, দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে প্রত্যাশা করছে, তাই প্রতিদিন বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ জাতীয় পার্টির পতাকাতলে যোগ দিচ্ছেন।
[৮] এসময় জি এম কাদের আরো বলেন, রাজনীতিতে সবার আগে দেশের স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে, যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে তাদেরই মাথায় তুলে রাখা হচ্ছে। এরপর লুটপাট ও শক্তি প্রদর্শনের জন্য দলের স্বার্থ দেখা হয়, সবশেষে দেখা হয় দেশের স্বার্থ। স্বাধীনতার আগে দেশের সম্পদ শুধু পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হতো, এখন দেশের সম্পদ সারা বিশে^ পাচার হচ্ছে। দেশের মানুষ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়, দেশের মানুষকে মুক্তি দিতেই আমাদের রাজনীতি।