জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী: [২] তুরাগ থানার বৃন্দাবন বস্তিতে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন মামলার প্রধান আসামি ইমাম হাসান হৃদয় (২০) কে শুক্রবার রাতে বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন গাজীপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব সদস্যরা।
[৩] র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার তুরাগ থানার বৃন্দাবন বস্তিতে পরিবারসহ বসবাস করেন ইসমাইল হোসেন এর ছেলে ইমাম হাসান হৃদয় (২০) ও সোহরাব হোসেনের ছেলে রাসেল (২২)। তারা দু’জনেই ছোটবেলার বন্ধু। তাদের দু’জনের গ্রামের বাড়ী কুমিল্লার মুরাদ নগর উপজেলার ময়না মতির একই গ্রামে। বন্ধুত্বের সুবাদে রাসেল (২২) তার বন্ধু ইমাম হাসান হৃদয়ের ঘরে নিয়মিত আসা যাওয়া করত। আসা যাওয়ার সুবাদে ইমাম হাসান হৃদয়ের স্ত্রী নুর আয়েতি বেগম আখনুর (১৭) এর সাথে রাসেলের অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
[৪] ৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় হৃদয় বাসায় এসে স্ত্রী নুর আয়েতি আখনুর এর সাথে বন্ধু রাসেলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় ইমাম হাসান হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে বন্ধু রাসেলকে প্রথমে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে সে একটি ছুরি বন্ধু রাসেলের পেটে ঢুকিয়ে দিলে গুরুতর আহত হন রাসেল। এ অবস্থায় বস্তির লোকজন রাসেলকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
[৫] পরের দিন বুধবার এ ঘটনায় রাসেলের বাবা সোহরাব হাওলাদার বাদী হয়ে তুরাগ থানায় হৃদয়কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই হৃদয় ঢাকা থেকে পালিয়ে বরগুনার আমতলীতে খালাত ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ী আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন গাজীপুর গ্রামে মনিরুল ফকিরের বাড়িতে আত্মগোপন করে।
[৬] গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে সাড়ে ৯টার সময় র্যাব -৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সদস্য ওই বাড়ি থেকে ইমাম হাসান হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে।
[৭] র্যাব-৮ পটুয়াখলী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার হৃদয়কে তুরাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্পাদনা:শান্ত মজুমদার।