সালেহ্ বিপ্লব: [২] যুক্তরাষ্ট্রের লিহে চুক্তির আওতায় এই নতুন চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
[৩] মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, লিহে আইনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অনুদান দেয়, এমন কোনো দেশের কোনো নিরাপত্তা সংস্থা বা বাহিনী যদি নির্যাতন, আইনবহির্ভূত হত্যা, গুম ও ধর্ষণজনিত কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে ওই সংস্থাকে কোনও অনুদান দিতে পারে না মার্কিন সরকার।
[৪] লন্ডনভিত্তিক অন টেবিল টক বলছে, ১৯৬১ প্রণীত আইনটিতে সম্প্রতি সংশোধনী আনা হয়েছে। অনুদানপ্রাপ্ত দেশগুলোর কোন সংস্থা অনুদানের কী পরিমাণ অর্থ পাচ্ছে, সেটি জানার জন্য চুক্তিতে একটি ধারা সংযোজিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সঙ্গেও চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
[৫] বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, গত ১ ডিসেম্বর নতুন চুক্তির ব্যাপারে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে ২১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।
[৬] বিষয়টি এমন সময়ে ঘটছে, যখন র্যাবের বর্তমান ও সাবেক ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
[৭] নিউ এইজ জানায়, একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই চুক্তি হলে বাংলাদেশ সরকারকে গ্যারান্টি দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অর্থ এমন কোনো বাহিনীকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত।
[৮] আরেকটি বৈঠকের পর আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মতি দেবে বলে আভাস দেন ওই সিনিয়র কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :