ড. আতিউর রহমান: বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ বিনির্মাণে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সকল রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান এবং একটি কেন্দ্রীয় সরকার বিনির্মাণে তিনি আজীবন সুদৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। স্বল্পকালীন এই দক্ষ দেশ পরিচালনার গুণে স্বাধীন বাংলাদেশ ধ্বংসস্তূপ থেকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছিলো। তাঁর দেওয়া গতিশীল দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের ধারা বয়ে চলেছে তারই সুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ গতি পেয়েছে। এরই ফলে আমরা এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটাতে পেরেছি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সুফল সামাজিক পিরামিডের একেবারে পাটাতনে থাকা সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা নাগরিকদের কাছে অনেকটাই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। যার ফলে মহামারিতে আমরা এতোটা হিমশিম খাইনি। চ্যালেঞ্জ শুরুতে ছিলো, এখনো আছে। নানা অসংগতির কথা অস্বীকার করা যাবে না। মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয় পীড়াদায়ক। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বসে নেই। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে সাহসিকতার সঙ্গেই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির আত্মবিশ্বাসকে আরও চাঙ্গা করার জন্য সবাই মিলে একাট্টা হতে হবে সোনার বাংলা গড়ার অভিপ্রায়ে। লেখক : সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক। ফেসবুক থেকে