খালিদ আহমেদ: [২] ঢাকা ব্যাংকের বংশাল ভল্ট থেকে ৪ কোটি টাকা লুটের মামলায় আসামিদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানিতে সোমবার এ মন্তব্য করে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ।
[৩] ব্যাংকের ভোল্টের টাকা কীভাবে উধাও হলো, এমন প্রশ্ন তোলে আদালত বলে, ‘ব্যাংকের ভল্টে রাখা টাকা যায় কীভাবে। তাদের ধরতে হবে। এ ছাড়া, রিপোর্ট হয়েছে ভুয়া বিলের মাধ্যমে টাকা নিয়ে যায়। কোনো টেন্ডার নাই, কোনো চেক নাই। এটা আনফরচুনেট। দুর্নীতিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নাই। দুর্নীতিবাজদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’
[৪] আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
[৫] মামলা থেকে জানা যায়, ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকার বেশি লোপাটের ঘটনায় ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
[৬] চলতি বছরের ১৯ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
[৭] আসামিরা হলেন ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার সিনিয়র অফিসার ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হক এবং এফভিপি ও ম্যানেজার (অপারেশন) এমরান আহম্মেদ। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা লোপাটের ঘটনা ধরা পড়লে তাদের আটক করে পুলিশ।
[৮] এ মামলায় আসামিদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন রিফাতুল হক। জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
আপনার মতামত লিখুন :