শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৬ রাত
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনায় বন্ধ মিলনমেলা, নিজের হাতে বানানো পিঠা নিয়ে ফেরত গেলেন বৃদ্ধ মা

নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ওই মিলনমেলা হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী বাঙালিরা স্বজনদের জন্য জিনিসপত্র নিয়ে কাঁটাতারের পাশাপাশি অবস্থান করেন। তবে তাদের সেখানে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। ঢাকা পোস্ট

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ৬ নম্বর ভাতুড়িয়া ইউনিয়নের মাকড়হাট ক্যাম্পের ৩৪৬ পিলার সংলগ্ন টেংরিয়া গোবিন্দপুর গ্রামের কুলিক নদীর পারে ঐতিহ্যবাহী পাথরকালী মেলা উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যুগ যুগ ধরে দুই বাংলার হাজারো মানুষ স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হন। পাথরকালী পূজার পরে ওই এলাকায় বসে মেলা। এই মেলাকে ঘিরে একদিনের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। দুই বাংলার মানুষ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। আত্মীয়-স্বজনদের জন্য নিয়ে আসা জিনিসপত্র কাঁটাতারের ওপর দিয়ে ছুড়ে দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, এপারে প্রশাসনের তৎপরতা। কাঁটাতারের পাশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। কাঁটাতারের পাশে যেতে না পেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন স্বজনরা।

নিজের ভাইকে দেখতে আসা আলী আকবর বলেন, আপনজনদের দেখার জন্য এক বছর অপেক্ষা করে থাকি। নিজের ভাই থাকে পরিবারসহ ওপারে। গত বছরও দেখা করতে পারিনি। এবারে আশা ছিল ভাইয়ের মুখ দেখতে পারব। কিন্তু ভারতের প্রশাসন তা হতে দিল না। ওই দেশে বলে খুব ভাইরাস (করোনা) তাই আর দেখা হলো না।

মেয়ের জন্য পিঠা নিয়ে আসা বৃদ্ধা সালেহা বেগম বলেন, এখন এই পিঠা কে খাবে? মেয়ে, জামাই, নাতি-নাতনির জন্য নিজের হাতে পিঠা বানিয়ে নিয়ে আসছি। কিন্তু পিঠা দেওয়া তো দূরের কথা, এক পলক দেখা করতেও পারলাম না।

পূজা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নগেন কুমার পাল বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মিলনমেলা করা সম্ভব হয়নি, শুধু পূজা পালন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভাতুঁড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজান সরকার বলেন, করোনার কারণে দুই বছর ধরে মিলনমেলা হয়নি। দুই বাংলার এই সম্পর্ক যেন যুগ যুগ থাকে।

হরিপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পাথরকালী পূজা উপলক্ষে প্রতিবছর এই দিনে গোবিন্দপুর কুলিক নদীর পাড়ে কাঁটাতারের কাছে দুই সীমান্তে ইংরেজি মাস ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শুক্রবার লাখো মানুষের সমাগমে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ-ভারত মিলনমেলা হয়ে থাকে। এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে মিলনমেলার আয়োজন করা হয়নি। এতে কাঁটাতারের ওপারে থাকা আত্মীয়-স্বজনরা মিলিত হতে পারনেনি। করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রনের কারণে এবার সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে কোনো মানুষকে ভিড় জমাতে দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

হরিপুরের গোবিন্দপুর ও চাপাসার ক্যাম্পে কর্মরত বিজিবি সদস্যরা জানান, করোনার কারণে মিলনমেলা বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। কাঁটাতারের কাছে কোনো বাংলাদেশি যেন না যায় সে বিষয়ে আমাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়