মো. বশির উদ্দিন: [২] রাজধানীর ডেমরায় মো. মামুন (২৪) নামে এক যুবক তার স্ত্রী মোছা. চাম্পা আক্তারকে (২২) হত্যা করে লাশ আর রাফি নামে একটি হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩] এ ঘটনায় মৃতের বাবা মো. হযরত সরদার অভিযুক্ত মামুনের বিরুদ্ধে গত (২ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মামলা করেন। তবে আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডেমরা থানার এসআই মো. ইকবাল হোসেন।
[৪] গত বুধবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে ডেমরার পূর্ব বক্সনগর মাইনুদ্দীনের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পলাতক মামুন ওই বাড়ীর ভাড়াটিয়া ও নাটোরের সিংড়া থানার লাল বানু বেওয়ানা গ্রামের মৃত নূর ইসলামের ছেলে।
[৫] হাজীনগর এলাকার আর রাফি হাসপাতালে দায়িত্বরত হাবিবুর রহমান জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে চাম্পাকে অচেতন অবস্থায় একটি যুবক রিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় হাসপাতাল থেকে বলা হয় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ সময় সিএনজি চালিত অটোরিকশা আনার কথা বলে পালিয়েছেন ওই যুবক।
[৬] বিষয়টি জানিয়ে ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন,লাশ ফেলে পালানোর পর গভীর রাতে আমরা প্রথমে মৃতের পরিচয় পাচ্ছিলাম না। পরে মেয়েটির বাবার পরিচয় পেয়ে তাকে ফোন করে থানায় এনে সব কথা শুনি।
[৭] মৃতের বাবার বরাতে ওসি আরও বলেন, চাম্পা গত ৭/৮ বছর ধরে গাজিপুরে একটি কারখানায় কাজ করতেন। বাবার অমতে গত ৫ মাস আগে মামুনের সঙ্গে বিয়ের পর তারা ডেমরায় বসবাস শুরু করেন। এদিকে মামুনের মোবাইল থেকে মেয়েটি প্রায়ই বাবার সঙ্গে কথা বলতেন। চাম্পা কয়েকদিন ফোন না করায় বাবা ওই মোবাইল ফোনে কল করতে সেটি বন্ধ পেতেন। তবে মামুনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান ওসি।
আপনার মতামত লিখুন :