সনতচক্রবর্ত্তী: [২] ফরিদপুরের মধুখালীতে দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে তরুণী আত্মাহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। পরে মধুখালি থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে ।
[৩] বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মথরাপুর প্রকল্পের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
[৪] মৃত লামিয়া ঐশী (১৪) উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের বাগাট গ্রামের ঠাকুরপাড়া এলাকার আরিফ হোসেনের মেয়ে। তার ভাই দুলাভাই আলিম বিশ্বাস ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করেন। সে মধুখালী বাজারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীর কাজ করেন।
[৫] খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লামিয়া ঐশী দু’দিন আগে মথুরাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে তার দুলাভাই আলিম বিশ্বাসের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আলিম বিশ্বাসের স্ত্রী, (লামিয়া ঐশীর বোন) বৃষ্টি সুলতানা চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
[৬] বৃহস্পতিবার ছোট বোন লামিয়া ঐশীকে বাড়িতে একা রেখে উপজেলা সদর কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যান বোন বৃষ্টি ও দুলা ভাই আলিম বিশ্বাস। পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে ঘরের ভেতর থেকে দরজা-জানালা বন্ধ দেখে তারা অনেক ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। প্রতিবেশীর সহযোগিতায় মরদেহ নামিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
[৭] লামিয়া ঐশীর বড় বোন বৃষ্টি সুলতানা বলেন, কারও সঙ্গে কোনো রাগারাগী বা ঝগড়াঝাঁটি কিছুই হয়নি। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে তাকে ভালোভাবে রেখে যাই। বাড়িতে এসে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পাই।
[৮] এ বিষয়ে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা একটি আত্মহত্যা। তবে এখনো আত্মহত্যার কোনো সঠিক কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। সম্পাদনা : হ্যাপি