রহিদুল খান : দীর্ঘ বিশ বছর পর ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার ভোটাররা। আগামী ১৬ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে বহুল আলোচিত এই পৌরসভায়। মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২০ ডিসেম্বর। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৭ ডিসেম্বর।
২০০১ সালে সর্বশেষ ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল। এরপর সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হয়। মামলার পর ২০ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন। তিনজন বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এই তিনজন বাদীর মধ্যে একজন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। অপর দু’জন এখন আর মামলা চালাতে চান না। শুধুমাত্র মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামালের কারণে এই পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছিল না বলে স্থানীয়রা জানান। নির্বাচনের দাবিতে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঝিকরগাছা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা এ.কে.এম আমানুল কাদির টুল্লু বলেন, ২০০১ সালের ২ এপ্রিল ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ মে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী শপথ গ্রহণের পর থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।
মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল তার নিজস্ব লোক দিয়ে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি করে হাইকোর্টে সীমানা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট করান। এর মধ্যে সাইফুজ্জামান ও শাহিনুর রহমান নামে দু’জন বাদী এফিডেভিটের মাধ্যমে রিট মামলা না চালানোর ঘোষণা দেন। অপরজন শাহাদত হোসেন মারা গেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, ঝিকরগাছা উপজেলা তরুণলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম শিপলু, পৌর সভাপতি শামীম হাসান প্রমুখ।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, ২০০০ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যশোরের ঝিকরগাছাকে পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০১ সালের ২ এপ্রিল ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল। ২০০৬ সালের ১২ মে পৌর পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এরপর নির্বাচন হওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু তার আগেই সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মামলা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :