শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৫৯ দুপুর
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে ঢাবির হল প্রাধ্যক্ষের নামে ‘নিখোঁজ’ বিজ্ঞপ্তি দিলেন শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক নিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়া ‘নিখোঁজ’ বলে একটি পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। হল ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে এই বিজ্ঞপ্তি দেখা গেছে। যে কারণে ঢাবির হল প্রাধ্যক্ষের নামে ‘নিখোঁজ’ বিজ্ঞপ্তি দিলেন শিক্ষার্থীরা। সময় টিভি

মূলত শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে তেমন উদ্যোগী নন এবং কোনো সমস্যায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না বিধায় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক নিখোঁজ নন। অন্যদিকে এই বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহল অবশ্য এই কর্মকাণ্ডকে বিকৃত রুচির বলে আখ্যা দিয়েছে।

রোববার (২৮ নভেম্বর) সূর্য সেন হলের শৌচাগার ও ক্যান্টিনের দেয়াল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্যাডো, মধুর ক্যানটিন ও টিএসসি এলাকায় বিজ্ঞপ্তিটি সাঁটানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার ছবি দিয়ে ইংরেজিতে বড় করে লেখা হয় ‘মিসিং’। আর ছবির নিচে ছোট করে লেখা হয় ‘প্রভোস্ট মাস্টারদা সূর্য সেন হল’।

শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সম্প্রতি সূর্য সেন হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের একটি ঘটনা ঘটে। এর বিরুদ্ধে প্রাধ্যক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেননি। এ ছাড়া হলটির ক্যান্টিনের খাবার মান খুবই খারাপ, মশার উপদ্রপ, হলে ক্রীড়া সরঞ্জামের অভাব, মসজিদে ইমাম না থাকা, শৌচাগারগুলোর অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার এসব সমস্যার কথা জানানো হলেও তা সমাধানে প্রাধ্যক্ষের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। এমনকি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখেন না তিনি। এ ছাড়া সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হল সংসদ নেতাদের একটি অংশ প্রাধ্যক্ষের ওপর ক্ষুব্ধ। নেতার জানান, সম্প্রতি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সূর্য সেন হলের টিভিকক্ষে একটি বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। হল শাখা ছাত্রলীগ সেই অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে। হল শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক নেতাদের সেই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়। কিন্তু হল সংসদ নেতাদের কাউকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রাধ্যক্ষের নামে সাঁটানো বিজ্ঞপ্তিটির পেছনে এই ঘটনারও ভূমিকা আছে।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী সংবাদমাধ্যমে বলেন, সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ নিখোঁজ হননি। তার সঙ্গে তিনি গতকালও একটি সভা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এমন বিজ্ঞপ্তি ‘অরুচিকর’।

যদিও সার্বিক বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলতে তার তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়