সুজন কৈরী [২] নুরুল ইসলাম জিহাদীর ছেলে মাওলানা মোরশেদ বিন নুর বলেন, সোমবার ১২টার পর ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
[৩] এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে ডা. লুৎফুর রহমানের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
[৪] নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব নির্বাচিত হন।
[৫] আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর পটিয়া থানাধীন কৈয়গ্রাম মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন । মাদরাসায় এক বছর শিক্ষকতার পর বাবুনগর মাদরাসায় আহুত হলে সেখানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হন। এরপর বাবুনগর মাদরাসায় কয়েক বছর অধ্যাপনার পর ঢাকার আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদরাসায় ১৯৮২ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। এ সময়ে তার বাবার মৃত্যুর পর তিনি নিজ বাড়িতে চলে যান ও পুনরায় বাবুনগর মাদরাসায় যোগদান করেন।
[৬] ১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই তিনি ঢাকা জেলার অন্তর্গত খিলগাঁও-এ আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই মাদরাসার মহাপরিচালক ও শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি তিনি দারুল উলুম হাটহাজারীর মজলিসে শূরা এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও আমেলার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।