ফরহাদ হোসেন: [২] ভোলায় যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটু গুলি বৃদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় ভোলা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[৩] শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই বাদী হয়ে মদনপুর ইউপি নির্বাচনে পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল উদ্দিন সকেটকে প্রধান করে ১৬ জনের নামে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়।
[৪] তবে এ ঘটনার মূল আসামি জামাল উদ্দিন সকেটকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে না পারলেও গত রাতে হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আবুল বসার (২৭) নামে একজনকে ধনিয়া কাঠির মাথা থেকে গ্রেপ্তার করে ভোলা সদর থানা পুলিশ।
[৫] এই ঘটনায় ব্যবহৃত ২ টি স্পিডবোর্ড জব্দ করা হলেও আটক করা যায়নি স্পিড বোর্ডের চালক কিংবা এর মালিককে। তবে পুলিশ বলছে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি হত্যাকান্ডে জড়িত মামলার মূল আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ভোলা সদর মডেল থানার ইনচার্জ ওসি এনায়েত হোসেন।
[৬] এদিকে দুই সন্তানের বাবা খোরশেদ আলম টিটুকে হারিয়ে তার স্ত্রী এখন পাগল প্রায়। তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নেও চলছে শোকের মাতম।
উল্লেখ্য, গেল ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন নান্নুর প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জামাল উদ্দিন সকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
[৭] নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব। গত শুক্রবার নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে তার ইউনিয়নের লোকজন সংবর্ধনা দেয়। সেখান থেকে ভোলা সদরে ফেরার পথে স্পিডবোট যোগে পরাজিত প্রার্থীর সন্ত্রাস বাহিনী তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এলোপাতাড়ি গুলির আঘাতে নিহত হয় সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম টিটু।