রুবেল মজুমদার : [২] এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে কুমিল্লা সিটি মেয়রসহ সব কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর নেতৃত্বে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] মানববন্ধনে মেয়র সাক্কু বলেন, একজন জনপ্রতিনিধিকে হত্যার এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই। এমন ঘটনা এর আগে শহরে ঘটেনি। আমরা সিটি কর্পোরেশনের সব কাউন্সিলর ও নগরবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমরা খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
[৪] এদিকে একদিন দুপুর ১টার দিকে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে আরেক আসামি গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার।
[৫] তিনি জানান, ঘটনার পর মাসুম চান্দিনায় পালিয়ে যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুন মামলায় মাসুম এজাহারভুক্ত ৯ নম্বর আসামি। তাকে চান্দিনা থেকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানায় আনা হয়েছে। এর আগে বুধবার এই মামলায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সুমন শহরের সুজানগর পূর্ব পাড়া বৌবাজার এলাকার মৃত কানু মিয়ার ছেলে।
[৬] মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে গত ২২ নভেম্বর বিকালে নগরীর পাথুরিয়া পাড়া এলাকায় মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে হত্যা করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আরও পাঁচ জন। এ ঘটনায় শাহ আলমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে নিজ কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মাসুম নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাসুম ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি এবং নগরীর সংরাইশ এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে।
[৭] উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সৈয়দ মো. সোহেলের কার্যালয়ে গুলি করে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা। গুলিতে সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও অন্তত পাঁচ জন। আহতরা বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তারা শঙ্কামুক্ত। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ