আয়াছ রনি: [২] মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহেশখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলিশান রোডের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
[৩] ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
[৪] আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন পৌরসভার গোরকঘাটা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনাটি পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়ার পরিবারের লোকজন ঘটিয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন।
[৫] তিনি বলেন, মেয়র মকছুদ মিয়ার সন্ত্রাসীরা আমার মৎস্যঘেরে কিছুদিন আগে লুটপাট করেছে। আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। সে থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মকছুদ মিয়া, ছেলে নিশান, ভাগনে মোর্শেদ ও মামুনসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি গোরকঘাটা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমার উপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুলিশ পহরায় সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
[৬] তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে অভিযুক্ত পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া বলেন, আমি মহেশখালীর বাইরে অবস্থান করছি। আসন্ন মামলার রায়কে ঘিরে নাটক করছেন মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন।
[৭] মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. রায়হানুল আলম জানান, আহত অবস্থায় আমজাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। তাঁর মাথা ও পিটে জখমী আঘাত রয়েছে।
[৮] মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই জানান, ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।