সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এপার্টমেন্ট ম্যানেজার ছদ্দবেশে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃতের নাম শাহরুল ইসলাম পারভেজ।
[৩] সিআইডির ঢাকা মেট্রো পশ্চিমের এএসপি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম মঙ্গলবার তেজগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
[৪] সাবেক সচিব ও রাজধানীর কাকরাইলের আইরিস নূরজাহান এপার্টমেন্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার হয় বলে জানিয়েছে সিআইডি।
[৫] গ্রেপ্তারের সময় শাহরুলের কাছ থেকে পদ্মা এবং এক্সিম ব্যাংকের ২টি সীলমোহর, মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য সম্বলিত ১টি সিভি, ৪টি জাল সীলমোহরযুক্ত ব্যাংকের ক্যাশ রিসিভড কপি, জাল এনআইডির কপি ১টি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জাল এনওসি ৪ কপি জব্দ করা হয়েছে।
[৬] সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান বলেন, আইরিস নূরজাহান এপার্টমেন্টের ওনার্স এসাসিয়েশন পত্রিকায় ম্যানেজার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। তা দেখে শাহারুল ইসলাম পারভেজ সিভি জমা দেযন। সিভির সঙ্গে তিনি মাষ্টার্স পাশের ভুয়া সার্টিফিকেট, ভুয়া এনআইডি, বিভিন্ন এপার্টমেন্টে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতার ভুয়া সনদ দেন। দক্ষ স্মার্ট মনে হওয়ায় তাকে নিয়োগ দেয়া হলে তিনি তিন লাখ টাকা সিকিউরিটি চেক জমা দিয়ে নির্ভরযোগ্য হিসাবে বিশ্বাস জন্মান। এরপর ওই এপার্টমেন্টে যোগ দিয়ে ৭ মাস চাকরি করে স্টাফদের বেতন, সার্ভিস চার্জ ও বিভিন্ন বিল জমা না দিয়ে ব্যাংকের জাল সীলমোহর দিয়ে ভুয়া রশিদ সরবরাহ করে প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আইরিস নূরজাহান এপার্টমেন্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রমনা মডেল থানায় মামলা হয়। এরপর তদন্ত করে সিআইডি প্রতারক শাহরুল ইসলাম পারভেজকে গ্রেপ্তার করে।
[৭] গ্রেপ্তার শাহরুল একই কৌশল ও উদ্দেশ্যে তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়ায় রোজা গ্রীন এপার্টমেন্টে ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেছিলেন বলে জানিয়েছে সিআইডি।