সিদ্দিক মাহমুদ: হুমায়ূন আহমেদই প্রথম কলকাতাভিত্তিক ‘বাংলা সাহিত্য’কে ‘বাংলাদেশের সাহিত্য’ বানিয়ে দিতে পেরেছিলেন। এমন একসময় এসেছিলো, যে সারা একুশে বইমেলায় একটাও কলকাতাভিত্তিক বই বিক্রি হতো না। টিএসসির সামনে, চারুকলার সামনে রিকশা ভ্যানে করে কলকাতাভিত্তিক বই বিক্রি করা হতো। এতে কলকাতাপ্রেমীরা প্রবল ক্রোধান্বিত হয়েছিলেন। তারা নানাভাবে হুমায়ূন আহমেদকে অপমান/অপদস্ত করে থাকেন। হুমায়ূন আহমেদ যেকোনো সাহিত্যিকেই না সেটা প্রমাণ করতে সর্ব মেধা, সর্ব শক্তি ব্যয় করেন। এমনকি শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান মনেপ্রাণে, স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষ হুমায়ূন আহমেদকে ‘রাজাকার মানসিকতাসম্পন্ন’, ইসলামবিরোধী বলে চালাতেও সচেষ্ট হন।
এতে তাদের লাভ? লাভ হলো হুমায়ূন আহমেদের পাঠক কমে গেলে কলকাতাভিত্তিক ‘বাংলা সাহিত্যের পাঠক বাড়বে’। হুমায়ূন আহমেদ মরে গেলেও সেই ধারা আজও বিদ্যমান। এ দেশের পাঠক কলকাতাভিত্তিক ‘বাংলা সাহিত্য পড়া কমিয়ে দিয়েছে, এ দেশের পাঠক আজকাল বাংলাদেশি লেখকের বই পড়ছে। আগ্রহভরেই পড়ছে।’ কলকাতাপ্রেমীদের চরম গাত্রদাহ তো হবেই। ফেসবুক থেকে