শাহিদুল ইসলাম : [২] দেবিদ্বারে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু কণ্যার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ বাজারের প্লাষ্টিক ব্যাগ ভর্তি গলিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৩] আজ রোববার দুপুরে দেবিদ্বার থানা পুলিশ শিশুটির নিজ বাড়ি পৌর এলাকার চাপানগর (চম্পকনগর) থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূর, উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের নজরুল ইসলাম মাষ্টারের বাড়ির সামনে ‘দেবিদ্বার-চান্দিনা’ সড়কের পাশে একটি ব্রীজের গোড়া থেকে বাজারের ব্যাগ ভর্তি ক্ষতবিক্ষত গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে।
[৪] পুলিশ মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। কাচিসাইর গ্রামের স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আমেনা বেগম নামে গৃহবধূ জানান, শিশুটির চেহারা বিকৃত ছিলো, সারা শরীর ফুলে গেছে, শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রদ্বারা পোচানো ছিলো, গোপাঙ্গনেও কাটা দাগ ছিলো, কানের লতিগুলো ছেড়া ছিলো।
[৫] নিহতের মা হোছনা আক্তার ও দাদা জহিরুল ইসলাম জানান, শিশুটির কানে এক জোড়া স্বর্নের রিং ছিলো, সেগুলো ছিনিয়ে নিতেই কেউ কানের লতি ছিড়ে ফেলে এবং তাদের চিনে ফেলার ভয়ে তাকে হত্যা করতে পারে।
[৬] ফাহিমা আক্তার(৫) দেবিদ্বার পৌর এলাকার চাপানগর গ্রামের ট্রাক্টর চালক মোঃ আমির হোসেন’র একমাত্র সন্তান। সে গত ৭ নভেম্বর বিকেলে বাড়ির আঙ্গীনায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। এ ঘটনায় নিজ গ্রামে, স্বজনদের বাড়ি, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি এবং মাইকিং করে না পেয়ে গত ১১ নভেম্বর তার পিতা আমির হোসেন দেবিদ্বার থানায় ডায়েরি করেন।
[৭] স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোরে পথচারীরা ঘটনাস্থলে একটি বাজারের ব্যাগ ভর্তি মানুষের পা ’য়ের অংশ বেড়িয়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোনে খবর দেন। সংবাদ পেয়ে পিবিআই’র একটি দল ও দেবিদ্বার - ব্রাক্ষণপাড়া সার্কেল এ,এস,পি আমিরুল্লাহ, দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আরিফুর রহমান উপ- পরিদর্শক(এসআই) নাজমুল হাসান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন।
[8] এসময় শিশু উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে নিখোঁজ শিশু ফাহিমার পিতা-মাতা, দাদা-দাদী এবং স্বজনরা তার মাথার চুল এবং গায়ের হলুদ গেঞ্জী দেখে শনাক্ত করেন।
[৫] এব্যপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাত মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৬-৭দিন আগে তাকে হত্যা করে বাজারের প্লাষ্টিকের বেগে করে ফেলে যাওয়ায় সারা শরীর পঁচে গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদঘাটন করা যাবে এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ