শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উৎকণ্ঠা—এভারকেয়ারে নজর সবার ◈ প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে বাড়তি খরচ কমাতে নতুন ছক চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ ১০ মাস পর প্রার্থী পরিবর্তন: খুলনা-১ এ জামায়াতের টিকিট পেলেন কৃষ্ণ নন্দী ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এভারকেয়ারে ◈ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্ত করতে পে-প্যালের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে: গভর্নর ◈ 'স্বেচ্ছা নির্বাসনে' যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ◈ স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধন, বয়সসীমা শিথিল করল মাউশি, রেজিস্ট্রেশনের বয়সে কঠোর বোর্ড ◈ ভূমিকম্প থে‌কে রক্ষা পেতে জাপানের কাছ থেকে যা শিখতে পারে বাংলাদেশ ◈ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা ◈ তালাক হলেও ফিরে আসার পথ—ইসলামী বিধান অনুযায়ী করণীয়

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৫০ দুপুর
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০২১, ০১:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিভাজিত হয়ে যাচ্ছেন চলচ্চিত্র দর্শক

ইমরুল শাহেদ: সেন্সর বোর্ড সদস্য ও অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা সেন্সরের ছবিগুলো কোথায় দেখেন। তিনি কোনো প্রকার দ্বিরুক্তি না করেই জবাব দেন, দেশের বাংলা ছবিগুলো সেন্সর বোর্ডেই দেখা হয়। ইংরেজী ছবি হলে দেখা হয় বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে। কেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডে যেসব যন্ত্রপাতি আছে তা দিয়ে কেবল দেশের ছবিগুলোই দেখা যায়।

এই যন্ত্রপাতিতে ইংরেজী ছবিগুলোর কিছুই বোঝা যায় না।’ উল্লেখ করার বিষয় হলো, আগে যখন সিনেপ্লেক্স ছিল না তখন ইংরেজী ছবিগুলো সেন্সর বোর্ডেই দেখা হতো। চলচ্চিত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসৃত হওয়ার পর থেকেই উন্নত দেশগুলোর ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সে ছবিগুলো সেন্সর বোর্ডের পুরনো যন্ত্রপাতিতে সঠিকভাবে দেখা যায় না। দেশের ছবিতে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হলেও প্রযুক্তিগত কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এ প্রশ্নের অবতারণা করেছেন বসুন্ধরা সিনে প্লেক্সের কর্ণধারও। তিনি বলেছেন দেশের ছবি নিয়ে। সিনেপ্লেক্সে দেশের ছবি অধিকহারে প্রদর্শিত হয় না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এখানে প্রযুক্তিগতভাবে যে সব ছবি নির্মিত হয় সেগুলো সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হওয়ার যোগ্য নয়। এভাবে সাধারণ সিনেমা হল এবং সিনেপ্লেক্সের মধ্যে একটা পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে।

এছাড়া বড় বড় শপিং মল বা অভিজাত এলাকায় সিনেপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে। সিনেপ্লেক্সগুলোতে টিকিটের দামও বেশি। তাই সেখানে এক শ্রেণীর দর্শক সিনেমা দেখতে পারেন। আর সাধারণ সিনেমা হলে ছবি দেখেন আমজনতা। এভাবে দর্শকের মধ্যেও একটা বিভাজন তৈরি হয়ে যাচ্ছে। প্রদর্শক সমিতির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন সাধারণ মানুষ যাতে সিনেমা দেখতে পারেন, সে রকম সিনেমা হল। টিকিট মূল্যের পার্থক্য ঘুচিয়ে সকলের আর্থিক সামর্থ্যরে মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।’ না হলে চলচ্চিত্র শুধু এক শ্রেণীর দর্শকের বিনোদন মাধ্যম হয়ে যাবে। এমনটাই মনে করেন প্রদর্শক সমিতির উক্ত কর্মকর্তা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়