শিরোনাম

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৫৬ রাত
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চিররঞ্জন সরকার: কিছু চিরন্তন হতাশামূলক বাণী

চিররঞ্জন সরকার
সবসময় আমিই তাকে/তাদের ফোন দিই। ও/তারা কোনোদিন আমাকে ভুল করেও একটা ফোন দেয় না। তাকে/তাদের আমি সারাজীবন ভাই, বোন, সন্তানের মতো মানুষ করলাম, নিজের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, ভবিষ্যৎ বিসর্জন দিলাম, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সব আব্দার মেটালাম, অথচ দিন ফেরার পর সে/তারা আজ আমাকে চেনে না। আমি জীবনভর শুধু খেটেই গেলাম, দিয়েই গেলাম, বিনিময়ে পেলাম শুধু অপমান, উপেক্ষা, আর লাঞ্ছনা। মানুষের জন্য এতো কিছু করলাম, কিন্তু কেউ কৃতজ্ঞতাটুকু দেখাল না। কারও জন্য কোনো কিছু করে কোনো লাভ নেই, আমি বিপদে পড়লে কারও কাছ থেকে পাঁচ পয়সার সাহায্যও পাই না। আমি হলাম ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা। আমাকে দিয়ে সবাই খালি কাজ করিয়ে নিতে চায়, ব্যবহার করতে চায়। মানুষ শুধু পেতে চায়, খেতে চায়। কিন্তু দেওয়া ও খাওয়ানের বেলায় চোখ উল্টে দেয়। সবাই স্বার্থপর। সবাই আমাকে শুধু ভুল বোঝে। আমার গুরুত্ব কেউ বুঝলো না। সে আসলে একটা ধান্দাবাজ। সে একটু বেশি বোঝে। সে আসলে কিছু বোঝে না। আমার দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাইনি। আমার বিপদের সময় মানুষ চিনলাম।

উল্লিখিত কথাগুলো বেশিরভাগ মানুষের কাছেই শুনি। মানুষ আসলে অভিযোগ করতে ভালোবাসে। নিজেকে মহৎ ভাবার পাশাপাশি রিক্ত, নিঃস্ব, অসহায় ও বঞ্চিত হিসেবে পরিচয় দিয়ে সম্ভবত এক ধরনের আনন্দ পায়। তবে জগতে সুখী হওয়ার সবচেয়ে বড় উপায় হলো মহাভারতে বর্ণিত শ্রীকৃষ্ণের মুখনিসৃত সেই বাণী: ‘কর্ম করিয়া যাও, ফলের আশা করিও না।’ প্রত্যক্ষ লাভ, উপকার ও প্রতিদানের আশা না করে নিজের কর্তব্য করে যেতে পারলে হয়তো অভিযোগ আর হতাশামূলক বাণী কম শোনা যাবে। কিন্তু জগতে তা কি সম্ভব? Chiroranjan Sarker-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়