শেখ সেকেন্দার আলী: [২] খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিপনের দাবিতে অপহৃত আমিনুর রহমান নামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। প্রেমিকার দাবি ইয়ামাহার মটরসাইকেল কিনতে অপহৃরণ করে হত্যা করা হয় বলে জানায় অভিযুক্ত।
[৩] পুলিশের কাছে অপহরণকারী ফয়সাল জানান, প্রেমিকার দাবি মেটাতে অপহরণ অতঃপর হত্যা করা হয় আমিনুরকে। তবে উপস্থিত জনতা জানান, যদি টাকার জন্য অপহরণ করা হয় আমিনুরকে তাহলে কেন তাকে হত্যা করা হবে। কারণ অপহরণকারী ফয়সালকে টাকা দিতে স্বীকার করেন আমিনুরের পিতা। সোমবার অপহরণকারী ফয়সালকে নিয়ে উপজেলার আগড়ঘাটা কপোতাক্ষ নদের তীরে লাশ খুঁজাখুজি করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
[৪] ওসি জিয়াউর রহমান জানান, উপজেলার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান সরদারেরর ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ (২২) একটি মেয়েকে ভালোবাসে। মেয়েটি বায়না ধরে আরঅন-৫ মটর সাইকেলের জন্য। কিন্তু এতো টাকা জোগাড় করা সম্বভ ছিলো না তার। সে পরিকল্পা করে শ্যামনগরের সুরমান গাজীর ছেলে আমিনুরকে অপহরণ করে। রোববার রাত ৯টার দিকে কপোতাক্ষ নদের তীরে কমলপানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ পান করানো হলে আমিনুর অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় আগে থেকে লুকিয়ে রাখা দা দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে কপোতাক্ষ নদে ফেলে দেয়। জবাই কৃত যাইগায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখাগেছে। অপহরণকারী ফয়সাল মৃত্যু আমিনুরের ব্যবহৃত মোবাই দিয়ে তার পিতার নিকট বলে ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ছেলেকে পেতে হলে ১০ লাখ টাকা লাগবে। তখন উপায়ন্ত না পেয় আমিনুরের পিতা টাকা দিবেন বলে স্বীকার করে। তখন অপহরণকারী ফয়সাল টাকা নিয়ে পাইকগাছা ব্রিজের নিকট আসতে বলে। তার কথা মতো টাকা নিয়ে ব্রিজের নিকট টাকা পৌঁছে দেয়। এসময় আগে থেকে ওতপেতে থাকাপুলিশ ও জনতা টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে। তার স্বীরোক্তিতে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদে খোঁজাখুঁজি করেও লাশের সন্ধান মেলেনি। খুনের ব্যবহৃত দা কপোতাক্ষ নদে ফেলে দিয়েছে বলে ফয়সাল স্বীকার করেছে। সম্পাদনা: হ্যাপি