ডেস্ক রিপোর্ট: মাদারীপুর শহরের পৌরসভা সংলগ্ন বটতলা এলাকায় নির্মাণাধীণ চারতলা ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে 'বোমা' রেখে বাড়ির মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। দিনভর আতঙ্কের পর জানা গেল সেটি বোমা ছিলো না। ছিলো বোমা সদৃশ বস্তু।
রবিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান মিয়া। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে র্যাব ও পুলিশের দুটি বোমা বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। সেখানে বোমা পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে বোমা সাদৃশ্য বস্তু।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহরের পৌরসভার সামনে অবসর প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মস্তফা কামাল চারতলা বাড়ি নির্মাণ করছেন। ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে রবিবার সকালে বোমা রেখে তার মোবাইল ফোনে ফোন করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনা বাড়ির মালিক পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, মাদারীপুর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মাদ সাদেকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। আতঙ্কে ছিল এলাকাবাসী।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, পুলিশের এবং র্যাবের দুটি বোমা বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে এসেছে। সদৃশ বস্তুটি বোমা কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে বোমা তৈরীর ব্যাটারী ও সার্কিট ছিল। কোন বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল না। তিনি আরও বলেন নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে কে বা কারা বোমা সদৃশ বস্তু রেখে বাড়ির মালিকের কাছে টাকা দাবি করে। বিষয়টি বাড়ির মালিক আমাদের জানালে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কে বা কারা বস্তুটি রেখেছে এবং টাকা দাবি করেছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। যেই নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে সেই নম্বরটির সূত্র ধরেই তদন্ত চলছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন
আপনার মতামত লিখুন :