সনতচক্রবর্ত্তী : শীত মৌসুমের শুরুতেই লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বোয়ালমারী লেপ- তোশক তৈরির কারিগরা( ধুনকরা)। শীত যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ব্যস্ততা বাড়ছে তাদের। এছাড়া ভোর হলেই কারিগররা উপজেলার নিজ নিজ দোকানে নতুন - পুরাতন লেপ-তোশক তৈরি কাজ শুরু করেছেন ।
জানা যায়, পুরো শীতজুড়েই লেপ-তোশকের দোকানগুলোয় বিক্রি বেড়ে যায়। লেপ- তোশক তৈরির কারিগরদের (ধুনকদের) কাছে আসে কেউ পুরোনো লেপ-তোশক মেরামত করতে, কেউ নতুন লেপ-তোশক বানাতে যান। আর এসব সামগ্রী তৈরি, মেরামত করতে বেশ কিছু শ্রমিক বা কারিগর অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করবেন। আবার কেউ কেউ লেপ- তোশক বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভ্যানে করে লেপ-তোশক বিক্রি করেন।
জেলার বোয়ালমারী উপজেলার এলাকার লেপ-তোশক ব্যবসায়ী মনোজ বস্ত্রালয় জানান, তুলার মান ও পরিমাপের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোশকের তৈরির খরচ। লেপ বানাতে সাধারণত কার্পাস তুলা ব্যবহার করা হয় কিন্তু বর্তমানে গার্মেন্সের তুলা দিয়ে এসব ব্যবহার হচ্ছে । কার্পাস তুলা মানভেদে ৪০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত দামের লেপ রয়েছে।
আর তোশক ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। আকারভেদে প্রতিটি লেপ-তোশক তৈরিতে কারিগরদের মজুরি দিতে হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এ বছর অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি থেকে বেচাকেনা বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
বোয়ালমারী উপজেলা একাধিক লেপ-তোশকের দোকান ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানেই কারিগর (ধুনকরা) লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্রেতার চাহিদামতো দোকানিরা লেপ-তোশকের কাপড় ও তুলা দেখাচ্ছেন। কারিগররা মুখে কাপড় বেঁধে তুলা প্রক্রিয়াজাত করেন। আবার কেউ লেপ-তোশকের কাভারের মধ্যে তুলা ভরছেন ও সেলাই করছেন।
কয়েকজন লেপ-তোশক দোকানি জানান, এ বছর তুলার দাম তেমন বাড়েনি। কার্পাস তুলা ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, মান্দার গাছের তুলা ২০০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে অন্য দিকে গার্মেন্ট তুলা ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লেপ-তোশক তৈরির কারিগর হোসেন সেক জানান, শীত এলে এ কাজের চাপ বেড়ে যায়। সকালে মহাজনের কাছ থেকে অর্ডারের লেপ-তোশকের তৈরির কাজ শুরু করি। এতে তার দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয়।এই আয় দিয়ে ভাবে আমার পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চলে যাচ্ছে।
অন্য দিকে আব্দুল হাই সেক বলেন, এই পেশায় ২৫ বছর ধরে আছি, প্রতিদিন লেপ- তোশক তৈরি করে৪০০- ৫০০ টকা আয় হয়। পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করছি। তবে সারা বছর এই ভাবে চলে আমাদের সংগ্রামী জীবন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :