শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর, ২০২১, ০১:১১ রাত
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মঈন চৌধুরী: সাহিত্য ও নতুন সমালোচনা তত্ত্ব

মঈন চৌধুরী
ধ্রপদী সমালোচনায় একজন সমালোচক পাঠের বাইরে গিয়ে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে অনেক বাগবিস্তার করতে পারতেন। আমাদের ছেলেবেলায় বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে দু’চার লাইন কবিতা ছেপে আমাদের ব্যাখ্যা করতে বলা হতো। ওইসব কবিতার ব্যাখ্যা লিখতে গিয়ে আমরা লিখতাম- ‘এই কবিতার লাইনগুলো ‘অমুক’ কবির ‘অমুক’ কবিতা হইতে উপস্থাপন করা হইয়াছে। কবিতার এই পঙ্ক্তিতে কবি বলিতে চাহিয়াছেন যে... ইত্যাদি ইত্যাদি।’ কিছু যুক্তিসহ মনের মাধুরী মিশিয়ে যে যতো বেশি লিখতে পারতো সেই পেতো সবচেয়ে বেশি নম্বর। ধ্পদী সমালোচনার সুবিধা ছিলো এই যে, আমরা কবির চিন্তাকে কল্পনা করে আমাদের চিন্তা-চেতনাকে উপস্থাপন করতে পারতাম খেয়াল-খুশিমতো।

১৯২০ সালের শেষ থেকে ‘নতুন সমালোচনা তত্তে¡র শুরু এবং ১৯৩০-এর দশকে তা মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা পায়। ধ্রপদী সমালোচনায় পাঠের বাইরে গিয়ে বাগবিস্তার করার সুযোগ থাকতো কিন্তু নতুন সমালোচনায় এ সুযোগটা আর রইলো না। ভাষাসৃষ্ট সাহিত্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করলেন নতুন- সমালোচকবৃন্দ এবং তারা বললেন, কোনো সাহিত্যকর্মকে বিচার ও বিশ্লেষণ করার সময় মূল পাঠ থেকে বেরিয়ে অন্য কোনো প্রসঙ্গকে আনা বাঞ্ছনীয় নয়। একটি কবিতা, গল্প, উপন্যাস বা নাটক রচনার সময় একজন কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক বা নাট্যকারের চিন্তা-চেতনায় কী ছিলো, তা আবিষ্কার করার চেষ্টা না করে সাহিত্যকর্মটির পাঠকেই আলোচনা-সমালোচনায় সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। Mayeen Chowdhury-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়