লিহান লিমা: [২]বিশ্বে মোট বনাঞ্চলের ৮৫শতাংশই ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল এবং কঙ্গোতে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বন উজাড় বন্ধ করতে কপ-২৬ সম্মেলনে স্বাক্ষরিত চুক্তির সমালোচনা করে ইন্দোনেশিয়া বলেছে, তার দেশ হয়তো এটি মানতে পারবে না। বিবিসি,গার্ডিয়ান,আল জাজিরা
[৩]ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী সিতি নুরবায়া বাকার বলেন, আমরা যা করতে পারবে না সেটি নিয়ে প্রতিশ্রুতিও দেবো না। ২০৩০ সালের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার বন উজাড় শূন্য নামিয়ে আনতে বাধ্য করা ‘পুরোপুরিই অযথাযথ এবং অন্যায্য। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বন চুক্তিতে স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও মন্ত্রী বলছেন, উন্নয়নই ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
[৪]বিশ্বের ১’শ জনের বেশি নেতা সোমবারত ২০৩০ সালের মধ্যে বনউজাড় সম্পূর্ণরুপে ঊহৃ এবং এই সময়ের মধ্যে সরকারী এবং ব্যক্তিগত তহবিলে ১৯.২ বিলিয়ন ডলার রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে স্বাগত জানালেও উদ্বেগ ব্যক্ত করে বলেন এরআগে ২০১৪ সালে যে চুক্তি করা হয়েছে তা বন উজাড় বন্ধে সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই প্রতিশ্রুতি পূরণ হওয়া আবশ্যক।
[৫] ফেসবুক পোস্টে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক মিস নুরবায়া বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক সম্পদ দেশের জনগণের কল্যাণেই লাগানো উচিত। তিনি বলেন, নতুন সড়ক তৈরি করতে বনের গাছ কাটা প্রয়োজন। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস কিংবা বন উজাড় হ্রাসের নামে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর কোনোভাবেই বৃহত্তর উন্নয়ন বন্ধ করা উচিত নয়।’
আপনার মতামত লিখুন :