কামরুল ইসলাম: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মৃত সাদত মিয়ার ছেলে মো. মনু মিয়া (৫০), পেশায় কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে কৃষিজমিতে কাজ করেছেন। নিজের ভাগ্য বদল করার জন্য কৃষি কাজ করে নিজে কিছু একটা করার মনস্থির করেন। ধীরে ধীরে তিনি এ পেশায় সফলও হন।
[৩] মনু মিয়া তার লক্ষ্য নিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন শ্যামগ্রামে ৪২ শতক পরিত্যক্ত জমি লিজ নেন। দীর্ঘদিনের কৃষিকাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কোনো জনবল না খাটিয়ে একক শ্রমে ও নিজের প্রচেষ্টায় এক বিঘা জমিতে লাউয়ের চাষ করেছেন। লাউ বিক্রি করে সপ্তাহে ২৫০০-৩০০০ টাকা বিক্রি করছেন। এছাড়াও বেগুন চাষ করেছেন ৮ শতক জমিতে। ৭ শতক জমিতে কুমড়ার চারা লাগিয়েছেন। ৬ শতক জমিতে ধনেপাতা চাষ করেছেন। ক্ষিরা ও ডাটা চাষ করেছেন ১২ শতক জমিতে। মুলা ও কলমি শাক লাগিয়েছেন ৯ শতক জমিতে। জমির বিভিন্ন অংশে প্রায় ধনেপাতা লাগিয়েছেন।
[৪] বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে সরেজমিন গিয়ে শ্যামগ্রাম এলাকায় মনু মিয়ার প্রজেক্ট ঘুরে শাক-সবজি ক্ষেতের এমন চিত্র দেখা যায়।
[৫] মনু মিয়া জানায়, আমরা কৃষক পরিবার। আমার একক শ্রম দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে এই শাক-সবজির ক্ষেত তৈরি করেছি। এই শাক-সবজি চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে চাই। আশা রাখি এ জমি থেকে লাখ টাকা আয় করতে পারবো। আমি চাই আমার এই সবজি ক্ষেত দেখে এলাকার বেকার যুবকরা আগ্রহী হয়ে নিজেদের বেকারত্ব দূর করবে।
[৬] স্থানীয় বাসিন্দা ভানু হালদার বলেন, মনু মিয়া অনেক কষ্ট করে এই প্রজেক্টটি করেছেন। আশা করি এই প্রজেক্টটি তার কষ্ট দূর করবে এবং সে ভালো কিছু করতে পারবে। তার এই প্রচেষ্টা দেখে ইতোমধ্যে এলাকার দু-তিনজন যুবক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
[৭] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের চেয়ে শাক-সবজি অত্যন্ত লাভজনক। শাক-সবজি চাষে তেমন কীটনাশক ও স্প্রে এর প্রয়োজন হয় না। নিয়ম অনুযায়ী শাক-সবজি চাষ করলে ওই কৃষক এক বছরের মধ্যেই কয়েক প্রকারের শাক-সবজি চাষ করতে পারবেন। কৃষকরা চাইলে এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সম্পাদনা: হ্যাপি