আতিক খান
ভারতীয় দলটাকে দেখে মায়া লাগছে। এতো বাজেভাবে হারলে পরাজয়টা উপভোগও করা যায় না। গ্যালারিতে বসা ভারতীয় ফ্যানদের জন্যও মায়া লাগছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অনেকেই এই দলটা হেসেখেলে বিশ^কাপ জিতবে বলে ঘোষণা করেছিলো। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে একমাস ধরে আরব আমিরাতের মাঠগুলোতে আইপিএল খেলে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই তারা বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে। আমাদের মতো ধানক্ষেতে প্রস্তুতি নেয়নি।
ক্যাপ্টেন কোহলি আর কোচ রবি শাস্ত্রীর জন্য শেষ টুয়েন্টি টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট, তাও বিশ্বকাপ। অথচ তাদের টুর্নামেন্ট শুরুই হয়েছে চিরশত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে ১০ উইকেটে হেরে। সেই ক্ষত না শুকাতেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা পড়ল আজ মাত্র ১১০ রান করে ১৪ ওভারেই হেরে গিয়ে।
সম্ভবত বাংলাদেশ দল নিয়ে আমাদের যে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সমীকরণ, সেই মাপকাঠিতে ভারতীয় দলের পারফর্মেন্স আরও বেশি তলানিতে। সন্দেহ নেই, ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানরা তুলোধুনো করবে কোহলি, রোহিত আর পান্ডিয়াদের। সম্ভবত এর সাথেই ভারতের সেমিতে খেলার আশাও শেষ হয়ে গেলো।
দুবাই সারজাহতে এশিয়ান দলগুলোর আধিপত্য বিস্তারের কথা থাকলেও ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মত দলগুলো বিস্ময়ের জন্ম দিচ্ছে। এদের স্পিন শক্তি বরং এশিয়ার দলগুলোর চাইতেও শক্তিশালী। বোলিং আর ফিল্ডিং দিয়েই এরা ম্যাচ অর্ধেক জিতে বসে থাকে। দেখে মনে হলো, ভারত এখনো পাকিস্তানের সঙ্গে শোচনীয় পরাজয়ের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। খুব বিস্ময়কর কিছু না ঘটলে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তানের মধ্যেই কেউ ট্রফিটা জিতবে।