স্বপন দেব : [২] মৌলভীবাজার ও নীলফামারী জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের বিরুদ্ধে বালুমহালের ইজারার টাকা সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়। তদন্তে অসদাচরণ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের লঘুদন্ড দেওয়া হয়।
[৩] পরে নাজিয়া শিরিন এই দন্ডাদেশ বাতিলের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর দন্ডাদেশ বাতিল করে দেন। নাজিয়া শিরিনের দন্ডাদেশ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বৃহস্পতিবার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
[৪] প্রকাশিত গেজেট থেকে জানা যায়, নাজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযো তিনি নীলফামারীর জেলা প্রশাসক থাকাকালে জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী এলাকায় তিস্তা নদীর ওপর বালুমহাল ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে ইজারা গ্রহীতার চেক ব্যাংকে জমা না দিয়ে ইজারার টাকা পাওয়া গেছে বলে চুক্তি করেন।
[৫] এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত বছর বিভাগীয় মামলা হয়। এরপর তাঁকে গত বছর ১৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছর ৭ অক্টোবর নাজিয়ার ব্যক্তিগত শুনানিতে তাঁর মৌখিক ও লিখিত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বিভাগীয় মামলাটি তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
[৬] তদন্ত কর্মকর্তা চলতি বছর ৮ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে নাজিয়া শিরিনের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তবে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
[৭] তাঁর বিরুদ্ধে অসদাচরণ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগের গুরুত্ব ও সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে তাঁকে দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদন্ড দেওয়া হয়। এই দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে নাজিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করেন। রাষ্ট্রপতি নাজিয়ার দন্ডাদেশ বাতিল করে তাঁকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেন। নাজিয়া বর্তমানে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-এ কর্মরত রয়েছেন।
[৮] নাজিয়া শিরিন এর মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি।