শেখ সেকেন্দার: [২] অবশেষে পাইকগাছায় রাড়ুলীর ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সাইদুলসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাত্র ২৪ বছর বয়সে ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড হয় সাইদুল। সে একই গোপালপুর গ্রামের মিজান গাজীর পুত্র। শনিবার ভোররাতে গদাইপুর ইউনিয়নের পিচের মাথার রাস্থার উপর থেকে তাকে আটক করা হয়।
[৩] মামলার তদন্তকরী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরির্শক তাকবির হোসেন জানান, গত ১৩ অক্টোবর বুধবার রাতে উপজেলা রাড়ুলী গ্রামের আবুল হোসেন শেখের বাড়িতে রাত ১ টার দিকে বাড়ির লোক জনকে বেঁধে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করে। বাড়ির আলমারী ভেঙ্গে রক্ষিত নগদ ৫৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকর, ও মোবাইসহ প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে চলে যায়।
[৪] এ ঘটনায় বাড়ির মালিক শেখ আবুল হোসেন বাদি হয়ে পাইকগাছা থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ডাকাতি মামলা করে। সহকরী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) মো. সাইফুল ইসলাম, ও থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বিষয়টি তদন্ত কালে উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার করে এজার নামীয় ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পঠায়। তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধিতে ডাকাতির কথা ও মুল পরিকল্পনা ও মাস্টারমাইন্ড সাইদুলের কথা স্বীকার করে।
[৫] শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, মিজান আন্ত জেলা ডাকত দলের সদস্য। সে ডাকাতির সাথে জড়িত ও পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। পিসিআর দেখাগেছে পাইকগাছা থানাসহ জেলার বিভিন্ন থানায় ১০ টির অধিক অস্ত্র, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার ওই সাইদুল পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে ১৬৪ ধারা জবানবন্ধিতে ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।