এফ এ নয়ন: [২] সরকারী হাসপাতাল সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে অথবা কোন দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত পাশ্ববর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এই সুযোগ টি কাজে লাগিয়েছে কিছু কথিত বেসরকারি হাসপাতাল ও দালাল চক্র।
[৩] জানা গেছে, টংগী ও গাজীপুর থেকে প্রতিদিন শতশত রোগী এই দালালদের মাধ্যমে এই সকল হাসপাতালে ভর্তি হয়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
[৪] কালিগঞ্জ থেকে আসা একজন রোগি (মায়া বেগম) ভাই বলেন আমার রোগী স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করে ইঁদুরের ঔষধ সেবন করে। আমরা সাথে সাথে কালিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে তাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া পর রোগিকে ঢাকা মেডিকেল রেফার করা হয়। কিন্তু দালাল চক্রের মুল হোতা মনির আমাদের ভয় দেখিয়ে শিনশিন জাপান হাসপাতাল নিয়ে যায়। এবং একদিনেই ৮০ হাজার টাকা বিল করে।
[৫] টংগী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল একি নিয়মে চলছে। হাসপাতালে দালালের মুল হোতা শাহিন এর কাছে জিম্মি ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড এর ডাক্তার ও নার্স। এখানে ও রোগীদের ঢাকা মেডিকেল রেফার করলে তারা ভয় দেখিয়ে উত্তরায় কিছু প্রাইভেট হাসপাতালে রোগি ভাগিয়ে নিয়ে যায়।
[৬] এছাড়া টংগী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতালে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারাও একি কাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেখানে সরকারিভাবে গরীব ও অসহায় মানুষের ভেলিভারি করা হয় সেখানে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা পাশ্ববর্তী প্রাইভেট হাসপাতালে উচ্চ কমিশনে রোগি পাঠাচ্ছে। আর তাতে ঘটে বিপত্তি।
[৭] কিছু দিন আগে একজন গর্ভবতী মায়ের প্রস্রাব ব্যাথা উঠলে তার পরিবার তাকে টংগী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা তাকে পাশ্ববর্তী নিউলাইফ হাসপাতাল পাঠিয়ে দেন। এরপর রোগির চিকিৎসা বাবদ নেয়া হয় মোটা অংকের টাকা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় বাচ্চা টি মারা যায়।
[৮] এবিষয়ে শিনশিন জাপান হাসপাতালের মহাব্যাবস্থাপক মো. শরিফ হোসেন বলেন , আমাদের হাসপাতাল টি জাপান সরকার কর্তৃক পরিচালিত ও সম্পূর্ণ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তাই আমরা কারো থেকে বেশি টাকা গ্রহন করি না। অথচ বাস্তবতা দেখাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
[৯] এবিষয়ে টংগী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন আমাদের কাছে রোগী আসলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। এরপর রোগিদের অবস্থা বেগতিক হলে আমরা ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করি। কিন্তু কিছু অসাধু দালালচক্র রোগীর পরিবার কে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। এটা সমাধান করার জন্য আমরা স্থানীয় প্রসাশন এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।