শিরোনাম
◈ ফলকার টুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট ◈ ভোলায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামিসহ তিনজন গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত নেতারা দল থেকে বহিষ্কৃত ◈ মুরাদনগরে মাদককারবারির অভিযোগে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা, একজন গুরুতর আহত ◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:৩৫ রাত
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শর্বাণী দত্ত: একটাই তো জীবন, ঘৃণা না করেই বাঁচতে চাই!

শর্বাণী দত্ত: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, আরও সোজা করে বলতে গেলে হিন্দু হয়ে জন্মে ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ নিয়ে আজীবন চলে যাওয়া খুব সহজ নয়। নামকরা হাই স্কুলে ৬ বছর কাটিয়েও এখন সেই স্কুলের হাতে গোনা ক’জনের সঙ্গেই বন্ধুত্ব রাখতে পেরেছি। আমার ধর্ম এবং ধর্মের মানুষদের নিয়ে এতো অসম্মানজনক কথাবার্তা বলতো, তাও এতো নির্দ্বিধায়, সেসব তোয়াক্কা না করে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। বারবার গরু খেতে নানাভাবে ‘প্রলুব্ধ করা’ থেকে শুরু করে, যেখানে-সেখানে, পাবলিক জায়গায়, বাসে, দোকানে ওয়াজ ছেড়ে দেওয়া অথবা ‘জ্ঞানীগুণী’ ইমামদের মাহফিলে হিন্দুধর্ম মানেই ‘অবৈধ জেনা’, ‘দেবদেবীদের নোংরামি’, হিন্দু নারীদের বুক দেখানো জর্জেটের শাড়ি- এসব শুনতে শুনতে কান গরম হয়ে যায়। এরপর আবার মাথা ঠাকরে যে যার কাজে এগোই।

মনে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরপর ক্যাম্পাসের খুব কাছে স্টাফ কোয়ার্টারে একটা সিঙ্গেল রুম ভাড়া করেছিলাম। এডভান্সের টাকা দেওয়ার সময়ও তাদের ধর্মভিত্তিক অগ্রাধিকার আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি। যেদিন ওঠতে গেলাম সেদিন আমি হিন্দু ‘টের পেয়ে’, সঙ্গে সঙ্গে একপ্রকার বেরই করে দিলেন। ভীষণ অপমানে, অস্বস্তিতে সুটকেসটা নিয়ে আবার আত্মীয়ের বাড়িতে ফিরে এলাম। গত বছর লকডাউনে মাশরাফি যখন কোভিড আক্রান্ত হলো, আমার ভোলাভালা মা অত সাতপাঁচ না ভেবেই একটা নিউজে মন্তব্য করে দিলো, ‘ঈশ্বর তোমাকে সুস্থ করে দিক বাবা!’ বগুড়ার এক স্কুল ছেলে সেখানে এসে আমার মা’কে উত্তর দিলো, ‘তোদের ওম নমঃ ফমঃ শুনতে চাইনি নেংটি কোথাকার’। ঘৃণাকে পাশ কাটিয়ে ভালোবাসা আর মায়া নিয়ে বেঁচে থাকাও আমাদের জন্য একটা যুদ্ধ এখন। এই যুদ্ধটা নিজের সঙ্গেই করতে হয়। কারণ মানুষ তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতেই কখনো কখনো ঘৃণার দ্বারা চালিত হয়, না চাইলেও হয়। তবু চেষ্টা, যুদ্ধ করে যাই। একটাই তো জীবন, ঘৃণা না করেই বাঁচতে চাই! Sharbani Datta’র ফেসবুক ওয়ালে পড়ুন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়