শিরোনাম
◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:২৬ রাত
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুপ্রীতি ধর: কী ভয়াবহ এক সময়ে বাস করছি সবাই

সুপ্রীতি ধর: কুমিল্লার ঘটনাটি ঘটে ১৩ অক্টোবর, অষ্টমী পূজার দিন। গত সাতদিনে দেশব্যাপী নির্যাতন, হামলার পর এসে এখন সিসিটিভি ফুটেজ আবিষ্কৃত হলো। তো এই ফুটেজ এতোদিন কোন গোল্লায় ছিলো? নাকি এটা বানাতে এতো সময় নিলো সরকারের ডিজিটাল বা সাইবার সেল? সঙ্গে এটাও জানা হলো, যে অভিযোগ তুলে হিন্দুদের ওপর এই নির্যাতন হলো বছরের সবচেয়ে বড় উৎসবটি পকরে দিয়ে, সেই ঘটনাটির মূলহোতা কোনো হিন্দু নয়, একজন মুসলমান, নাম ইকবাল হোসেন। এটা তো আমরা সবাই জানতাম যে কোনো হিন্দু এই কাজ করেনি, কখনো করেনি। এরই মধ্যে যা হওয়ার তাতো হয়েই গেছে। মলম পার্টিও তৎপর হামলাকবলিত জায়গাগুলোতে। তারা এখন ক্ষতগুলোতে জোর করে মলম লাগাচ্ছে নাকি কান্না কেঁদে। দিকে দিকে ‘সেল্ফ সেন্সরড’ সাংবাদিক এবং অপরাপর সুশীল-মুশীলরাও এখন অসাম্প্রদায়িকতার বুলি কপচাচ্ছে। ‘প্রকৃত মুসলমান নয়’ বলে এরই মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নীতিহীন মানুষেরা।

অথচ ঘটনাটি যেদিন ঘটেছে তখন মিডিয়াগুলো উট না হলে, এটা যে একটা নিউজ, এটা প্রকাশ করা যে সাংবাদিকতার প্রধান দায়িত্ব, সেটা যদি সবাই করতো, সবাই যদি মুখ খুলতো, প্রতিবাদে শামিল হতো, তবে হয়তো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তো না এই ভয়াবহতা। সাংবাদিকদের গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত। এদিকে অনুভ‚তিওয়ালাদের একচেটিয়া অধিকার এ দেশে, তারা যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে, করে যাচ্ছে, কেউ কিছু বলবে না। বলতে পারবে না। বললেই ধরে নিয়ে যাবে। উত্তম বড়–য়া, রসরাজ, ঝুমন দাশের পর এখন রুমা সরকার। আরও কতোজন যে জেলে আছে কে জানে! এই দমনপীড়নওতো সংখ্যালঘু নির্যাতনেরই অংশ। সরকারের অনুভ‚তিতো আরও টনটনে। সেইজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এক পায়ে খাড়া। তার অনুভ‚তিতে আঘাত লাগে যখন আমরা সমালোচনা করি, প্রতিবাদ করি। তখন আমাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের নামে। কী ভয়াবহ এক সময়ে বাস করছি সবাই। Supriti Dhar’র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়