খালিদ আহমেদ: [২] রিটে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৪০টি মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।
[৩] একইসঙ্গে রিট আবেদনে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের আর্জি জানানো হয়েছে।
[৪] বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে রিট দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান।
[৫] রিটে হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায় বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং রায় বাস্তবায়নে কেন নির্দেশনা দেওয়া সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়া রায় বাস্তবায়নের একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
[৬] ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করেন।
[৭] এর শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
[৮]ওই রায়ে হাইকোর্ট দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
[৯] ওই রায়ের পর প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও রায়টি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই রায়টির বাস্তবায়ন চেয়ে পুনরায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হলো।
আপনার মতামত লিখুন :