শিরোনাম
◈ কৃষ্ণ সাগরে ড্রোন হামলার পর পাঁচ দিন ধরে বিপদে ১০ নাবিক, তাদের একজন বাংলাদেশি প্লাবন ◈ খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্ট, যা লিখলেন ◈ সব কিছু প্রস্তুত করা হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু ◈ পেট্রাপোলের জটিলতায় বেনাপোলে আটকে ১৫০ সুপারি ট্রাক, প্রতিদিন লাখ টাকার ক্ষতি রফতানিকারকদের ◈ বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করা হচ্ছে: ডা. জাহিদ হোসেন (ভিডিও) ◈ মহানবীর রওজা জিয়ারতে নতুন নিয়ম ও সময়সূচি ঘোষণা ◈ আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন ◈ শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন কি না তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: এস জয়শঙ্কর ◈ সাম‌নে হ‌বে ভোটের আগে জোট, পর্দার আড়ালে 'আন্ডারস্ট্যান্ডিং' ◈ ‘জুবাইদা রহমানের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তার নিজস্ব’

প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২১, ০৪:৩৬ সকাল
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২১, ০৪:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ কি পাকিস্তান হয়ে উঠছে? প্রশ্ন অপর্ণা সেনের

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ হিংসায় ধীরে ধীরে মুখ খুলছেন তারকা-বুদ্ধিজীবীরা। ওপার বাংলার হিংসার ঘটনায় সরব হয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, দেবশঙ্কর হালদার, রুদ্রনীল ঘোষ, শ্রীলেখা মিত্রের মতো পরিচিত মুখ। বলিউডের প্রবীণ গীতিকার জাভেদ আখতারও নিন্দায় সরব। এবার বাংলাদেশ কি ধীরে ধীরে পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে ট্যুইটারে সরব হলেন পরিচালক-অভিনেতা অপর্ণা সেন। তাঁর ট্যুইট, ‘কী হচ্ছে বাংলাদেশে? পড়ছি এবং দেখছি সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে, হত্যা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ কি ক্রমশ পাকিস্তান হয়ে উঠছে? থামুন, দয়া করে থামুন। গোটা বিশ্ব ক্রমেই হিংসাস্থল হয়ে উঠছে।‘ আই ই বাংলা

এখানেই শেষ নয় জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী এই পরিচালক আরও লিখেছেন, ‘পুজোর সময় সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া নির্যাতনের তীব্র নিন্দা করছি। হিংসার ঘটনা রোধে সবসময় জিরো টলারেন্স দরকার।‘

এদিকে, বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব টলিউডের একটা অংশ। সেই তালিকায় নাম রয়েছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ওপার বাংলার অভিনেত্রী গর্জে উঠেছেন জয়া এহসান এবং মিথিলা। এবার সরব হলেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষ। পাশাপাশি বাংলার বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা নিয়ে এদিন ফেসবুকে কটাক্ষ করেছেন এই অভিনেতা।

লক্ষ্মীপুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘দুর্গাপুজোর সময় থেকে হিন্দু ধর্মের মানুষদের উপর যে ধারাবাহিক মানসিক এবং শারীরিক নিপীড়ন নেমে এসেছিল, তাতে বাংলাদেশের হিন্দুরা আজ লক্ষ্মীপুজো কতটা পালন করতে পারছেন জানি না। যদিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সে দেশের পুলিশকর্তারা দেশজুড়ে ঘটা এই ঘটনাকে উগ্র মৌলবাদী হামলা বলেছেন এবং তাঁরা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেও জানতে পেরেছি। শুধুমাত্র বাংলাদেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ নয়, বিশ্বজুড়ে বাঙালিরা এই ঘৃণ্য, পরিকল্পিত ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন, পথে নেমছেন, কথা বলছেন।‘

তাঁর খোঁচা, ‘কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, আমাদের এপার বাংলার অধিকাংশ শিল্পী লেখক বুদ্ধিজীবী এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। যারা যেকোনও একটা ছোট্ট বিষয়ে পান থেকে চুন খসলেই হুলস্থুল করে দেন, সেই তাঁরাই এই বড় ব্যাপারটা এড়িয়ে যাচ্ছেন, নয় চুপ যাচ্ছেন কিংবা এসব ছোট্ট বিচ্ছিন্ন ঘটনা, ওদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এসব বলছেন! কেন? অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে, এনারা কি ইসলামের নামে করা এই ঘৃণ্য মৌলবাদকে সমর্থন করছেন? নাকি এপার বাংলার বুদ্ধিজীবীরা-বিশিষ্টজনরা যারা অধিকাংশই হিন্দু, তাঁরা নিজের ধর্মের মানুষদের মানুষ মনে করেন না? নাকি অন্য কোনও বড় রাজনৈতিক সমীকরণের কাছে মাথা নুইয়ে দিয়েছেন এপার বাংলায়, তাই অনিচ্ছাতেও চুপ? এ প্রশ্নের উত্তর সাড়া বাংলার মানুষ খুঁজছেন।‘

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়