শিরোনাম
◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ◈ এ‌শিয়া কা‌পে ওমানকে হারা‌লো আরব আমিরাত ◈ বাংলাদেশ দলের বিরু‌দ্ধে আমা‌দের চ্যালঞ্জ নি‌য়ে খেল‌তে হ‌বে: আফগানিস্তান কোচ ◈ বাংলাদেশি পাসপোর্ট সহ টিউলিপের ট্যাক্স ফাইলের খোঁজ পেয়েছে এনবিআর ◈ জলদস্যুদের ধাওয়ায় ট্রলারডুবি: ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে ১৮ জেলের জীবনরক্ষা ◈ চীনের ঋণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউ রাষ্ট্রদূত ◈ জাকসু নির্বাচনে কারসাজি, এক দলকে জিতিয়ে আনতে সব মনোযোগ ছিল: শিক্ষক নেটওয়ার্ক

প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৫০ রাত
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২১, ০২:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জি-আই সনদ: আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি

নিউজ ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আমের পর এবার রসালো, আঁশবিহিন, আকারে বিশাল ফজলি আম এবং কালো ডোরা কাটা বাগদা চিংড়ি খুব শিগগিরই জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর বা জি-আই সনদ পেতে যাচ্ছে।

সরকারের পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিস্টার মো. আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়ে গেছে।

আর দিন পনেরোর মধ্যে সনদ দেবার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান। তিনি জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী স্বীকৃতির জন্য আবেদন আসার পরে এই দুটি কৃষি পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক যাচাই করা হয়েছে, দুটি জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে।
এই পণ্যের নির্দেশক নিয়ে এখনো কেউ আপত্তি করেনি। জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে এটি নিজেদের বলে কেউ আপত্তি না করলে সনদ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

ফজলি আমের জিআই সনদের আবেদন করেছিল ফল উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র। আর বাগদা চিংড়ির জন্য আবেদন করে মৎস্য অধিদপ্তর।

যে কারণে এই দুটি পণ্যে বাংলাদেশের স্বীকৃতি

আমের মৌসুমের শেষের দিকে বাজারে আসা ফজলি পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও উৎপাদন করা হয়। আর লবণাক্ত পানির বাগদা চিংড়ি এশিয়ার বেশ কিছু দেশে হয়।

এই কৃষি পণ্য দুটি কেন বাংলাদেশের জিআই সনদ কেন পাবে সেটি ব্যাখ্যা করে মোঃ আবদুস সাত্তার বলছেন, ‘যে পণ্য একটি অঞ্চলের ঐতিহ্যের অংশ সেটির ক্ষেত্রে এই সনদ দেয়া হয়। আবহাওয়া, মাটি, পানি ও ভৌগলিক গঠনের উপরে যেকোনো কৃষি পণ্যের বৈশিষ্ট্য, ঘ্রাণ ও স্বাদ নির্ভর করে এবং নির্দিষ্ট অঞ্চলেই সেটা হবে’।

‘যেমন এশিয়ার বেশ কিছু দেশে 'ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প' বা বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এখানে যেটা হয় সেটার বৈশিষ্ট্য অন্য কোনটার সাথে মিলবে না। অন্য কোথাও চাষ হলেও সেটার স্বাদ ও ঘ্রাণ মিলবে না।’

জি-আই সনদ পেলে যে লাভ

বাংলাদেশের মোট নয়টি পণ্য এপর্যন্ত জিআই সনদ পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ইলিশ মাছ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও বাংলাদেশি কালিজিরা, জামদানি, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি এবং নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি।

বাগদা চিংড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী প্রাণী। বাংলাদেশে ৮০'র দশক থেকে এটির বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে।

এটি বিদেশে রপ্তানিও হচ্ছে। তবে কাছাকাছি সময়ে এর রপ্তানি কিছুটা পড়ে গেছে।

সাত্তার বলছেন, ‘আমরা দেখেছি যে জিআই সনদ পাওয়ার পর বিদেশের বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। জিআই ট্যাগ ব্র্যার্ন্ডিং হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশ থেকে অনেকে বাগদা চিংড়ি রপ্তানি করছে। জিআই সনদ না থাকলে এর মূল্য কম হয়। ক্রেতারা এটিকে ব্র্যান্ডেড বলে মনে করে না।’

তিনি বলছেন, বিসিকের তথ্য অনুযায়ী জামদানি জিআই সনদ পাওয়ার পর রপ্তানি এবং এর মূল্য দুটোই বেড়েছে।

সাত্তার বলেন, জিআই সনদ পেলে বাংলাদেশ পণ্যটি উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পাবে। অন্য কোন দেশ আর সেগুলোকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারবে না। সূত্র : বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়