শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ০১:২৭ দুপুর
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ০১:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বোয়ালমারী হাসপাতালের জরাজীর্ণ ছাপড়া মসজিত দুই তলায় রুপান্তরিত

হারুন-অর-রশীদ: [২] ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা হাসপাতাল মসজিদ বেশ কয়েক যুগ পর দু’তলা মসজিদে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
মসজিতটি ৮০ দশকের দিকে সর্ব প্রথম মাটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়। পরে ইট বালু দিয়ে দেয়াল করে ছাপড়া মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এদিকে মসজিদটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে।

[৩] বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান তার পিতা বোয়ালমারী হাসপাতালে চাকুরী করতেন। সেই সুবাদে তারা হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকতেন। তার জন্মের পর থেকে এসএসসি পাস পর্যন্ত হাসপাতাল কোয়ার্টারে থেকেছেন। তিনি (ডা. খালেদুর রহমান) ১৯৯০ সালে বোয়ালমারী জর্জ একাডেমি থেকে এসএসসি পাশ করে ঢাকার নটরডেম কলেজে ভর্তি হন। তার ভর্তির পরে তার ফ্যামিলি হাসপাতালে কোয়ার্টার ত্যাগ করে ঢাকায় চলে যায়। সর্ব প্রথম ডা. হাবিল উদ্দিন, ডা. শাহজাহান সহ অনেক ডাক্তার, কর্মকর্তা, কর্মচারী মিলে মাটির মসজিদ নির্মাণ করেন।

[৪] খালেদুর রহমান বলেন, ২০০০ সালে ডাক্তারি পাশ করি এবং ২০০৬ সালে ২৫ তম বিসিএস এর মাধ্যমে সরকারী চাকুরী লাভ করি। ২০০৭ সালে বোয়ালমারীতে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করি এবং ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। তখনও আমি ক্যাম্পাসেই থেকেছি। ২০১৫ এর শেষ দিকে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে যাই। ২০১৭-২০১৮ সালে নিপসম থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ( এমপিএইচ) ডিগ্রি অর্জন করি। ২০১৯ সালে ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ২০২০ সালের ২৪ মার্চ বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেই। বোয়ালমারীতে যোগদানের পর থেকে মনে একটা গোপন পরিকল্পনা ছিল মসজিদ নিয়ে। মসজিদ দুইতলা ভবন নির্মাণ করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। তাই ধীরে ধীরে অর্থ জমাতে থাকি। এ পর্যন্ত চার লাখ টাকা জমাতে পেরেছি। এছাড়াও কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী ডাক্তার, কর্মকর্তা, কর্মচারী মিলে আরো ২ লাখ টাকা জোগাড় করেছি। মোট ৬ লাখ টাকা নিয়ে জরাজীর্ণ মসজিদের দু’তলা ভবনের কাজে হাত দিয়েছি।

[৫] এ ছাড়া ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা, ডা. ওবায়দুর রহমান, ডা. গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন, পৌরসভার মেয়র সেলিম রেজা লিপন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ্ পিকুলসহ অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সকলেই সাহায্যের হাত বাড়াবেন এবং আমার পাশে থাকবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়