যায়যায়দিন: [২] নগরীর ম্যানহাটনে ওই নির্মম ঘটনার শিকার সালাহ উদ্দিন বাবলু শনিবার দুপুর ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মুখে ও পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
[৩] নিহত বাবলুর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার ২ নং নদনা ইউনিয়নের হাটগাঁও। তিনি ৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্রুকলিনে বসবাস করতেন।
[৪] জানা যায়, ১৫ অক্টোবর রাতে নিউইয়র্ক নগরীর ব্যস্ততম এলাকা ম্যানহাটন ডাউনটাউনের ক্রিস্টি ও ইস্ট হাউস্টনের কর্নারে অবস্থিত রুজভেল্ট পার্কের কাছে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন বাবলু। ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত বাবলুকে প্রশাসনের সহায়তায় নিয়ে যাওয়া হয় ম্যানহাটনের বেলভিউ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে লাইফ সাপোর্টে স্থানান্তর করেন। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি।
[৫] এনওয়াইপিডি পুলিশ জানায়, ম্যানহাটনের রুজলেভেল্ট পার্কের কাছে একটি ই-বাইকের গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা। ধারণা করা হচ্ছে ফুড-ডেলিভারি করায় তার কাছে নগদ অর্থের সন্ধান করেছিল ছিনতাইকারীরা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই হামলাকারী একটি বেøড দিয়ে ভিকটিমকে আঘাত করে। ঘটনার শিকার বাংলাদেশি বাইকের উপর বসেই লড়াই করেছিলেন। মারাত্মক জখম অবস্থায় বাবলু পার্কের দিকে ছুটে যান এবং সিটি পার্ক বিভাগে কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতা চান।
[৬] পুলিশ আরো জানায়, ভুক্তভোগীর বাইকের পেছনে একটি ফুড ডেলিভারি ব্যাগ সংযুক্ত ছিল। হামলার সময় কোনো পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছিলেন কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে হামলাকারী একটি সিটি বাইকে দ্রæত অন্যত্র পালিয়ে যায়। শনিবার পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।