আয়াছ রনি: [২] পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমন। সাগরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য সৈকতে স্নানে মেঠে উঠে ভ্রমণ পিয়াসিরা।
[৩] সম্প্রতি সমুদ্র সৈকতে বেড়েই চলেছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। প্রতিদিনই বালিয়াড়িতে মিলছে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের ফেলে দেয়া অসংখ্য প্লাস্টিকের পানির বোতল, ওয়ানটাইম চায়ের কাপ, মাস্ক ও পলিথিন। ফলে বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে বালুকাময় সৈকতের পরিবেশ।
[৪] বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্যের টানে প্রতিদিনই ছুটে আসে হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসু। তারাই ফেলছেন অসংখ্য প্লাস্টিক পানির বোতল, ওয়ান টাইম চায়ের কাপ, ব্যবহার করা মাস্ক, চিপস ও বিস্কুটের প্যাকেট সৈকতে। প্লাস্টিকের বর্জ্যে ভরে গেছে বালিয়াড়ি।
[৫] সূত্র মতে, প্রতিদিন সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে পরিষ্কার করা হয় ৬০ কেজি খালি পানির বোতল, ৫ হাজারের বেশি ওয়ানটাইম চায়ের কাপ ও মাস্ক এবং এক ট্রাকের বেশি চিপস, বিস্কুটের প্যাকেট, ডাবের খোসা ও পলিথিন।
[৬] সৈকতে প্রতিদিনই বর্জ্য পরিষ্কার করেন ২০ জনের অধিক পরিচ্ছন্ন কর্মী। তারাও বলছেন, সৈকতের প্লাস্টিকের ব্যবহার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
[৭] সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছে পরিবেশবাদি সংগঠন।
[৮] পরিবেশবাদীরা বলেন, প্রতিদিন উন্মুক্তভাবে সমুদ্র সৈকতে হাজার হাজার খালি বোতল, চিপস-বিস্কুটের প্যাকেটসহ নাধা বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এখানে অবশ্যই প্রশাসনের উদাসীনতা রয়েছে। প্রশাসন যদি কঠোর না হয় তাহলে সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষা হবে না, পরিবেশও বিনষ্ট হবে।
[৯] পর্যটন সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানালেন, সৈকতের প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[১০] কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন ও প্রটোকল সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, সৈকতের পরিবেশ রক্ষায় আমরা স্থানে স্থানে ঝুড়ি দিয়েছি। স্থানীয় দোকানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যবহার না করে। বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি