এম আর আমিন: [২] চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীতে অপরিকল্পিতভাবে অনির্দিষ্টকাল নোঙর থাকা মালিকানাধীন হাজারো লাইটার জাহাজ। ফলে জাহাজ জটে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে পলি জমে নাব্যতা হারাচ্ছে কর্ণফুলী নদী। আর এই পলি অপসারণের জন্য ড্রেজিংনে সরকারি হাজার কোটি টাকা খরচেও কোন সুফলতা আসছে না বলছেন নদী বিশেষজ্ঞরা।
[৩] বিশেষজ্ঞদের মতে কর্ণফুলী নদীতে অপরিকল্পিতভাবে নোঙরকৃত জাহাজের সাথে ভাসমান বালি ও মাটির কণা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে নদীর তলদেশে জমা পড়ার করণে এসব ড্রেজিং প্রকল্প কোন কাজে আসছে না। নদী ক্যাপিটাল ড্রেজিং কতটুকু সফল হবে। এখানে প্রশ্ন আসতেই পারে ক্যাপিটাল ড্রেজিং কি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য করা হচ্ছে?।
[৪] দ্রুত কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হলে ড্রেজিং ও নদীশাসনের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে। আর অপরিকল্পিতভাবে জাহাজ নোঙর বন্ধ করার পরিকল্পনা নিতে হবে জানান বিশেষজ্ঞরা ।
[৫] সূত্র জানায়, পানিতে ভাসমান আবর্জনাসহ বালি ও মাটির কণা নোঙরকৃত জাহাজের (লাইটার জাহাজের ড্রাফট ৩ থেকে ৫ মিটার) সাথে ধাক্কা লেগে বিস্তৃত হয়ে সেগুলো নদীর তলদেশে আস্তে আস্তে জমা পড়ে। এভাবে কর্ণফুলীতে জমছে পলি, হারাচ্ছে নাব্যতা। এখন পর্যন্ত ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর কাজ প্রায় ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। সংশোধিত প্রস্তাবনা অনুযায়ী প্রকল্পের কাজের সময়সীমা ২০২১ সালের জুন থেকে বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত।
[৬] নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট’র পরিচালক (হাইড্রলিক রিসার্চ) পিন্টু কানুনগো বলেন, জোয়ারের সময় কর্ণফুলী নদীতে সাগর থেকে যে গতিতে পানি প্রবেশ করে ভাটার সময় সে গতিতে পানি নিচে নেমে আসে না। নদীর তলদেশে ধীরে ধীরে পলি জমতে থাকে। তাই নদীর এক অংশে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে অন্য অংশে ড্রেজিং করতে করতেই পুনরায় পূর্বের স্থানে আবার পলি জমছে। বন্দর চ্যানেলের মোহনা থেকে হালদা নদী পর্যন্ত অপরিকল্পিত নোঙর করে রাখা হচ্ছে জাহাজ। নীতিমালা থাকলেও মানছে না জাহাজ মালিকরা। নদীতে দীর্ঘক্ষণ জাহাজ নোঙর করা আইন সম্মত নয়। এই আইন বাস্তবায়ন করা গেলে জাহাজ নোঙরে তবেই শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।