মোশতাক আহমেদ : [২] শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে ফতুল্লার নয়াবাজার মসলিম নগর এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
[৩] নিহত সুজন নাটোরের গুরুদাসপুরের রামাগাড়ি এলাকার আমজাদ হোসেন টগরের ছেলে। তিনি ফতুল্লার নবীনগর শাহ আলমের বাড়িতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতেন।
[৪] জানা গেছে, সকাল ৭টায় একটি ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয় সুজন। তবে গ্যারেজ থেকে মিশুক বের করেনি। একটি গাড়িতে সুজনসহ ৩জন আসে নয়াবাজার মুসলিম নগর এলাকায়। পরে তারা তিনজন মিলে সুজনকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
[৫] এদিকে হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিহতের স্বজনরা। ভীড় শত শত উৎসুক জনতা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
[৬] নিহতের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বলেন, স্বামী-স্ত্রী ও এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে আমাদের পরিবার। স্বামীর উপার্জনে আমাদের সংসার চলে। বিসিক রহনা নামে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন সুজন। এর মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করা হয়েছে। এজন্য কয়েকদিন আগে গার্মেন্টসের কাজ ছেড়ে দিয়ে ভাড়ায় অটোরিকশা চালানো শুরু করেন।
[৭] এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে সুজন ফকিরকে হত্যা করা হয়েছে। এরই মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের খুঁজে দ্রুত গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :