রিয়াজুর রহমান : [২] শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সোয়া ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর এলাকার ইসমাইল কলোনির এস এস হাউজ নামে একটি ভবনের চারতলার একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৩] নিহতরা হলেন, মা সুমিতা খাতুন এবং তার দুই সন্তান ছেলে শান এবং মেয়ে মুন। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার খোকসা গ্রামে। ঘটনায় নিহত সুমিতার স্বামী সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
[৪] পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বলেন, একটি বাসা থেকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হবে। আত্মহত্যা করা মহিলার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
[৫] পাঁচলাইশ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শহিদুল ইসলাম গনমাধ্যমকে জানান, পুলিশ ৯৯৯ ফোন পেয়ে দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এরমধ্যে দুইজনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। বাকি একজনের বিছানায় পড়েছিল।
[৬] তিনি আরও বলেন, সুমিতা খাতুনের স্বামী মুরাদপুর মোড়ে হারবালের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বিক্রি করেন। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।
[৭] স্বামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাসায় এসে তিন প্যাকেট বিরিয়ানি দিয়ে যান। এ সময় তার স্ত্রী সুমিতা খানকে বলেন, টাকায় না থাকায় বাজার করতে পারেননি। এরপর রাত নয়টায় দিকে স্বামী বাসায় এসে দরজা বন্ধ পান। পরে বাহির থেকে ডাকাডাকি করে চলে যান।
[৮] তিনি আরও বলেন, সুমিতা খানের স্বামী আবার রাত ৩টার দিকে বাসায় এসে ডাকাডাকি করেন। তখনও কেউ দরজা খুলেননি। এরপর তিনি বাসার দারোয়ানকে বিষয়টি জানান ও ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন।
[৯] পরে পুলিশ, বাড়ির দারোয়ান ও স্থানীয়রা মিলে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর আরেকটি রুমের দরজা ভেঙে তিনজনের মরদেহ দেখতে পান।
[১০] পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সিআইডি ঘটনাস্থলে আছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ