আসাদুজ্জামান আরজু: একসময় পয়সাওয়ালারা দানবীর হতেন। তারা এলাকায় হাসপাতাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতেন। করটিয়ার জমিদার শিক্ষা বিস্তারের জন্য স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছেন। টাঙ্গাইলের পাকুল্লার ব্যবসায়ী রনদা প্রসাদ সাহা মির্জাপুরে কমুদিনী হাসপাতাল করেছেন, টাংগাইলে কমুদিনি মহিলা কলেজ করেছেন, মির্জাপুর হাসপাতাল এর বিশালতা কেউ না দেখে থাকলে বুঝতে পারবেন না। এসব তাদের দানবীরতার হয়ত সামান্য অংশ। তারা এসব করেছেন সাধারন মানুষের সেবার জন্য উপকারের জন্য ব্যবসার জন্য নয়। এরকম কতনা দানবীর সমাজসেবক ছিল। আর এখন স্কুল কলেজ হাসপাতাল করেন ব্যবসায়িরা বানিজ্যের জন্য। চিকিৎসা শিক্ষা আর সেবা নয় এগুলো গার্মেন্টস রড সিমেন্টের মত পন্য হয়ে গেছে। তারা হিসেব করে আইসিও ভাড়া কত ল্যাব টেস্ট এর রেট কত আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবার ভর্তিতে কত কোটি আয় হলো টিউশন ফি কত আসল এসব হিসাব করে।
এখন পয়সা ওয়ালারা আর কমুদিনি হাসপাতাল এর মত হাসপাতাল করে না বা সাদত কলেজের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন না। এদের দৃষ্টি এখন সুইস ব্যাংক, একটার পর একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী, ইউনাইটেড এভারকেয়ার নর্থ সাউথ এর মত প্রতিষ্ঠান যেখানে লাভ আর লাভ। সাধারন মানুষের জন্য এদের ভাবনার সময় নাই। দানবীর শব্দটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :