মোতাহার খান: বাছেরুন নেছা কিছুটা বাকপ্রতিবন্ধী, বয়স ৭০ এর কাছাকাছি হবে। বিশ বছর আগে বাবা-মাকে হারিয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পর ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই রেখে যেতে পারেননি সন্তানের জন্য। তাই অন্যের বাড়িতেই থাকেন তিনি। একটি ঘরের জন্য চরম কষ্টে দিন পার করছিলেন।গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজমাওনা গ্রামের মৃত বাছের আলী মাতা মমিরনের মেয়ে বাছেরুন নেছা।
বৃদ্ধ বয়সে দেখার মত কেউ নেই।সরকার গরীব অসহায় মানুষের জন্য অন্ন-বস্ত্র ও বাসস্থানের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করলেও বাছেরুন নেছা সেই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দ্বারে দ্বারে ঘুরেও জোটেনি সরকারি সহায়তা।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ফারহানা ও ফাহিম কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সাদ্দাম হোসেন অনন্ত তার পাশে দাড়ান।এবং বাছেরুন নেছাকে বাবার রেখে যাওয়া ভিটেমাটিতে মাথা গোঁজার জন্য নতুন ঘর করে দিচ্ছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাছেরুন নেছা অন্যের বাড়িতেই বসবাস করতো। কয়েকদিন আগে সাদ্দাম হোসেন অনন্ত তাকে একটি ঘর তৈরি করে দিয়েছেন।বাছেরুন নেছার জীবনের শেষ বেলায় এমন একটি ঘর তৈরি করে দিয়ে শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
সাদ্দাম হোসেন অনন্ত বলেন,বাছেরুন নেছার এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টি আমার নজরে আসে।পরে খোজঁ নিয়ে টিনসেট ঘর, পাকা মেঝে ,ঘরের আসবাবপত্র খাবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় চাল ডালসহ এক মাসের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।নিজের সামর্থ অনুযায়ী বাছেরুন নেছার ঘরসহ সকল কিছুর দায়িত্বও নিয়েছি।বৃদ্ধ বয়সের সময়টুকু যেন ভালো ভাবে কাটাতে পারে ভবিষ্যতেও খোঁজ নিবো।
কোন সরকারি সুযোগ-সুবিধা না পাওয়া বাছেরুন নেছার কথা ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম প্রতিবন্ধী আমার ওয়ার্ডে আরো অনেক আছে পারলে আপনি সহযোগিতা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :