শিরোনাম
◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ০১:৩৮ রাত
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ০১:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাজ্জাদ বকুল: হাসান আজিজুল হক স্যারকে দেখতে গিয়েছিলাম বুধবার, তাঁকে যেমন দেখলাম

সাজ্জাদ বকুল: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে গত কয়েকদিন হাসান আজিজুল হক স্যারকে দেখতে যেতে পারিনি। ১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্যারের বাসায় গিয়েছিলাম। তখন বিছানা থেকে তুলে ড্রয়িং রুমে চেয়ারে বসিয়ে মেশিন দিয়ে নেবুলাইজ করা হচ্ছিলো স্যারকে। ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ায় এই চিকিৎসা। ডায়াবেটিসও কিছুটা বেশি। শরীরে লবণের ঘাটতি কিছুটা পূরণ হয়েছে। তবে খাবারে এখনো রুচি ফেরেনি। অনেকটা তরল খাবারই খাওয়াতে হচ্ছে। তবে সকালের দিকে মাঝে মাঝে একটু করে রুটি-পরোটা খাওয়ানো যাচ্ছে। বেশ ক্লান্ত, বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিলো প্রবল আমুদে আড্ডাবাজ এই কথাসাহিত্যিককে। চোখ বন্ধ, মাথা নিচের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। আমার আসার খবর দেওয়ায় অনেক কষ্ট করে মাথা তুলে ইশারায় আমাকে পাশের সোফায় বসতে বললেন। চোখ বেশ ফোলা। মাথা সোজা করে রাখতে কষ্ট হচ্ছিলো।

নেবুলাইজ করা শেষ হলে ইজি চেয়ারে বসানো হলো। তাতে মাথা উঁচু করে বসানো আধাশোয়া করা সম্ভব হলো। বোঝা যাচ্ছিলো জীবনকে বিপুলভাবে যাপন করা এই খ্যাতিমান সাহিত্যিক আজ জীবনের কাছে ভীষণ অসহায়। সবাইকেই একসময় তাই-ই তো হতে হয়। এই হাসান স্যার আমাদের চেনা নয়, তাই কষ্ট হচ্ছিলো খুব। ইজি চেয়ারেও চোখ বন্ধ করেই শুয়ে থাকলেন। দুপুরের আগ পর্যন্ত এই সময়টাতেই তিনি যা একটু ভালো থাকেন বলে সম্প্রতি তার ছেলে আমাকে ফোনে জানিয়েছিলেন। বিকেল বা সন্ধ্যা-রাতে তাকে এটুকুও পাওয়া যায় না। তাই দিনের বেলাতেই দেখতে গেলাম। আর তাই ভর্তি পরীক্ষার সময়গুলোতে দিনে ব্যস্ত থাকায় স্যারকে দেখতে যাওয়া হয়নি।

ইজি চেয়ারে আধো ঘুম আধো জাগরণের এই মানুষটাকে তার প্রিয় কয়েকটি গান ইউটিউব থেকে চালিয়ে শোনালাম- তুঝসে নারাজ নেহি, দিল চিজ কিয়া হ্যায়, ইন আঁখো কি মাস্তিও মে আর হেমন্তবাবুর গাওয়া দূর গগন কি ছাঁও মে। অতি প্রিয় গানগুলো কানে যেতেই প্রতিক্রিয়ায় কিছুটা যেন কেঁপে কেঁপে উঠছিলেন প্রিয় কথাসাহিত্যিক। রেখা অভিনীত দিল চিজ কিয়া হ্যায় গানটি বাজার সময় চোখটা কিছুটা খুলে গেলো। আমার হাতের মোবাইল ফোনে বেশ অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলেন গানের সঙ্গে রেখার সেই নাচ দেখতে। আহা! আবার হাসান স্যারের সঙ্গে আড্ডার সেই মুখর দিনগুলো ফিরে আসবে না? Sazzad Bokul-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়